অন্যরা বলে পার্টি, আর ছাত্র শিবির বলে সংগঠন।
অন্যরা বলে নেতা, আর ছাত্র শিবির বলে দায়িত্বশীল।
অন্যরা দুনিয়ায় কিছু পাওয়ার স্বার্থে পার্টি করে, আর ছাত্র শিবিরি আখিরাতের জন্য সংগঠন করে।
অন্যরা করে আন্দোলন, ছাত্রশিবির করে ইসলামী আন্দোলন।
অন্যরা গোঁজামিল দিয়ে তাদের কর্মীদের বুঝ দেয়, আর ছাত্রশিবির যুক্তি দিয়ে বুঝায়।
অন্যরা তাদের নেতা বানায় গালি বেশী জানে এমন লোককে, আর ছাত্র দায়িত্বশীল বানায় কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞান যার বেশী, যে মেধাবী, তাকওয়া, ইমান, ন্যায়পরায়ন, সত্যবাদী এমন চরিত্র আছে তাকে।
অন্যরা তাদের প্রতিপক্ষকে সময়ে-অসময়ে আক্রমণ করে বাহাদুরি দেখায়, আর ছাত্রশিবির আক্রমণ না করে ধৈর্য ধারন করে বাহাদুরি দেখায়।
অন্যরা মিছিল করে ‘একটা লাশ পড়লে দশটা লাশ পড়বে’, আর ছাত্রশিবির বলে নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরো দেব রক্ত, রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’। যত যাবে রক্ত শিবিরি হবে শক্ত, আলকোরানের আলো ঘরে ঘরে জ্বালো।
অন্যরা বলে অসাম্প্রদায়িকতা, আর ছাত্রশিবির বলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।
অন্যরা বলে আমরা ‘অমুকের সৈনিক’, আর ছাত্রশিবির বলে আমরা একমাত্র ‘আল্লাহ্র সৈনিক’।
অন্যরা বলে ‘আমার নেতা তোমার নেতা অমুক ভাই তমুক ভাই’, আর ছাত্রশিবির বলে ‘তোমার নেতা আমার নেতা বিশ্বনবী মুস্তাফা’।
অন্যরা ইলেকশন আসলে নামায পড়ে, আর ছাত্রশিবির আখিরাতে মুক্তির জন্য নামায আদায় করি।
অন্যরা মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে তাদের সকল কাজ শুরু করে, আর ছাত্রশিবির দুঃখ-কষ্ট সব মসজিদে এক আল্লাহ্র কাছে জানায়।
অন্যরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করে, আর ছাত্রশিবিরি ইসলামকে প্রতিষ্টার জন্য আন্দোলন করি।
অন্যরা লাখ টাকা দামের ডজনখানেক গরু দিয়ে তাদের কর্মীদের ভুরিভোজ করায়, আর ছাত্রশিবির ছোট্ট একটা ইফতার মাহফিল করতে গেলেও প্রত্যেক কর্মী থেকে ৫-১০ টাকা করে নিই।
অন্যরা দেশের শত কোটি টাকা নিজেদের পকেটে ঢুকিয়েও ‘দেশপ্রেমিক(?!!)’, আর ছাত্রশিবির নিজেদের টাকায় দেশের জন্য উন্নয়নমূলক কাজ করে।
সূত্র: ফেসবুক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন