Main Slogan:

হে ইমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর (সূরা বাকারা : ২০৮)
নামায লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
নামায লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ২২ জুলাই, ২০২০

জীবন্ত নামাজ । অধ্যাপক গোলাম আযম । Jibonto Namaj । Professor Golam Azam ।

বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১০

মসজিদে নামাজ আদায়ের তাৎপর্য



মসজিদে নামাজ আদায়ের তাৎপর্য
- প্রফেসর ড. মমতাজুল ইসলাম


নবী করীম (স.) বলেন, যে ব্যক্তি আযান শোনে অতঃপর সে (অসুখ বা ভয় প্রভৃতি) কোন ওযর ছাড়া নামাজে হাজির হয় না (ঘরে পড়ে) তার নামাজ হয় না (দারাকুতনী, মেশকাত)। এই হাদীস দ্বারা মসজিদের গুরুত্ব প্রমাণিত হয়। সুতরাং এবার মসজিদের কথা শুনুন। রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেন, আলস্নাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় জায়গা মসজিদ এবং সবচেয়ে ঘৃণিত জায়গা হাট-বাজার (মুসলিম, মেশকাত, ৬৮ পৃঃ)। রাসূলুলস্নাহ বলেন, যে ব্যক্তি আলস্নাহর ওয়াস্তে মসজিদ বানায় তার জন্য আলস্নাহ জান্নাতে ঘর বানান (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত)।

আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুলস্নাহ (স.) আমাদেরকে মহলস্নায় মহলস্নায় মসজিদ বানাবার এবং সেগুলোকে পাকসাফ রাখবার ও খোশবু দিয়ে সুবাসিত করার হুকুম দিয়েছেন (আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, মেশকাত)।

মসজিদে নামাজের সওয়াব: রাসূলুলস্নাহ (স.) বলেন, একজন লোক ঘরে নামাজ পড়লে একটি নেকী পায়, সে অক্তিয়া মসজিদে পড়লে ২৫ গুণ, জুমুআ মসজিদে পড়লে পাঁচশ গুণ, মসজিদে আকসায় পড়লে পঞ্চাশ হাজার গুণ, আমার মসজিদে অর্থাৎ মসজিদে নববীতে পড়লে পঞ্চাশ হাজার গুণ এবং মসজিদুল হারাম বা কাবার ঘরে পড়লে এক লাখ গুণ সওয়াব পাবে (ইবনে মাজাহ, মেশকাত)।

মসজিদে কি কি করা নিষেধ: রাসূলুলস্নাহ (স.) বলেন, পিঁয়াজ ও রসূন (কাঁচা) খেয়ে মসজিদের কাছে এসো না। কারণ এতে ফেরেশতারা কষ্ট পায় (বুখারী, মুসলিম)। তিনি (স.) বলেন, মসজিদে থুথু ফেল না (ঐ)। যদি কোন নামাজীকে নামাজ পড়া অবস্থায় থুথু ফেলতে হয় তাহলে সে যেন তার সামনে না ফেলে। কারণ সে ঐ সময় আলস্নাহর সাথে চুপে চুপে কথা বলে এবং সে যেন ডানদিকেও না ফেলে কারণ তার ডানদিকে ফেরেশতা থাকে। অতএব হয় সে বামদিকে ফেলবে কিংবা পায়ের নীচে ফেলবে। পরে সেটাকে মুছে দেবে (ঐ)। তিনি (স.) মসজিদে কবিতা আবৃত্তি করতে, বেচাকেনা করতে ও জুমুআর দিনে নামাযের আগে গোল হয়ে বসে চক্র বানাতে নিষেধ করেছেন (আবু দাউদ, তিরমিযী)। তিনি বলেন, এমন একটা যুগ আসবে যখন মানুষ মসজিদে বসে দুনিয়ার কথা বলবে, তখন তুমি তাদের সাথে বসবে না (বায়হাকী)। তিনি মসজিদে কেসাস (খুনের প্রতিশোধ) নিতে এবং হদ (শরীয়াতী শাস্তি) দিতে নিষেধ করেছেন (আবু দাউদ, মেশকাত)।

সাত জায়গায় নামাজ পড়তে নিষেধ: রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম এই সাত জায়গায় নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন। যথা ১. জঞ্জাল ফেলার জায়গায় ২. যবেহ করার জায়গায় ৩. কবরখানায় ৪. রাস্তায় ৫. গোসলখানায় ৬. উট বাধার জায়গায় ৭. কা'বার ছাদের উপর (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, মেশকাত)। রাসূলুলস্নাহ (স.) বলেন, গোরস্থান, গোসলখানা ও অপবিত্র জায়গা ছাড়া সমস্ত জমিনটাই মসজিদ (আবু দাউদ, তিরমিযী, দারেমী মেশকাত)।

ঘরেও মসজিদ বানাও: রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেন, তোমাদের কিছু নামাজ (অর্থাৎ সুন্নত ও নফল নামাজগুলো) নিজেদের ঘরে পড় এবং (ঘরে ঐসব নামাজ না পড়ে) সেটাকে কবরে পরিণত করো না (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত, ৬৯ পৃঃ)।

যায়দ ইবনে সাবেত (রা.) বলেন, রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম তাঁর ঘরে নামাজের জন্য একটি খাস হুজরা করে রেখেছিলেন। অনেক লোক তাঁর কাছে আসতো এবং তাতে নামাজ পড়তো। তিনি (সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম) বলেন, ফরয ছাড়া পুরুষের অন্যান্য সুন্নত ও নফল নামাজ ঘরে পড়া উত্তম (বুখারী, মুসলিম, বুলুগুল মারাম)।

মসজিদে ঢোকার ও বের হবার দোআ: রাসূলুলস্নাহ (স.) বলেন, যখন তোমাদের কেউ মসজিদে ঢুকবে তখন এই দোআ পড়বে, আলস্নাহুম্মাফ তাহ্লী আব-ওয়া-বা রহমাতিকা। অর্থাৎ হে আলস্নাহ! তুমি আমার জন্য তোমার রহমতের দরজাগুলো খুলে দাও। যখন বের হবে তখন এই দোআ পড়বে, আলস্নাহুম্মা ইন্নী আস আলুকা মিন ফাদলিকা। অর্থাৎ হে আলস্নাহ আমি তোমার কাছে তোমার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি (মুসলিম, মেশকাত)। মসজিদে ঢোকার সময় নবী সালস্নালস্নাইহি ওয়া সালস্নাম প্রথমে ডান পা রাখতেন (তাবারানী)। বের হবার সময় প্রথমে বাম পা বের করতে হবে (হাকেম, ১ম খন্ড ২১৮)।

মসজিদে যাবার ও ঢোকার পর করণীয়: রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেন, যে ব্যক্তি নিজের ঘর থেকে অযু করে ফরজ নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে মসজিদের দিকে যায় সে ব্যক্তি একজন এহরামওয়ালা হজ্ব সমাধাকারীর নেকী পায় (আহমাদ, আবু দাউদ, মেশকাত)। রাসূলুলস্নাহ (স.) বলেন, যখন তোমরা কেউ মসজিদে ঢুকবে তখন বসার আগে দু'রাকআত নামাজ পড়ে নেবে (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত)। রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেন, যখন তোমরা জান্নাতের বাগানে ঘোরাফেরা করবে তখন কিছু ফলমূল খেয়ে নিও। সাহাবীরা বললেন, জান্নাতের বাগান কোনটা? তিনি বললেন, মসজিদগুলো। তাঁরা বললেন, তার ফল খাওয়া কেমন? তিনি বললেন, এই তসবীগুলো পড়া, সুবহানালস্নাহ, আল হামদুলিলস্নাহ, অলা-ইলাহা, ইলস্নালস্নাহু আলস্নাহু আকবার (তিরমিযী, মেশকাত)।

তরজমা: আলস্নাহ পবিত্র, সমস্ত প্রশংসা আলস্নাহর, আলস্নাহ ছাড়া আর কেউ এবাদতের যোগ্য নয় এবং আলস্নাহ সবচেয়ে বড়।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের রাকাআতের বিবরণ: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মোট ১৭ রাকআত ১. ফজর ২ রাকাআত ২. যোহর ৪ রাকাআত ৩. আসর ৪ রাকাআত ৪. মাগরিব ৩ রাকাআত ৫. এশা ৪ রাকাআত (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত)।

সুন্নাত নামাজ বার রাকাআত রাসূলুলস্নাহ (স.) বলেন, যে ব্যক্তি দিনরাতে ১২ রাকাআত নামাজ পড়ে তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানানো হয়। রাকআতগুলো এই- যোহরের আগে ৪ রাকাআত এবং পরে ২ রাকআত, মাগরিবের পরে ২ রাকআত, এশার পরে ২ রাকআত ও ফজরের আগে ২ রাকআত (তিরমিযী, মেশকাত)। ফজরের সুন্নত আয়েশা (রা.) বলেন, ফজরের ২ রাকআত সুন্নতের চেয়ে আর কোন নফল নামাজের প্রতি অত গুরুত্ব দিতেন না (বুখারী, মুসলিম)। রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেন, ফজরের ২ রাকআত সুন্নত দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে সে সবের চেয়ে বেশি উত্তম ও শ্রেয় (মুসলিম, মেশকাত)।

ফজরের সুন্নতের পর ডান কাতে শোয়া সুন্নত নামাজ কেন পড়তে হবে? কোরআনের প্রায় ৮২ জায়গায় আলস্নাহতায়ালা নামাজের কথা বলেছেন এবং মহানবী সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম এই নামাজের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি তাকিদ করেছেন। রাসূলুলস্নাহ (স.) বলেন, ইসলামের বুনিয়াদ পাঁচটি জিনিসের উপর তা হলো ১. এ কথার সাক্ষ্য দেয়া যে, আলস্নাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য আর কেউ নেই এবং মোহাম্মদ (স.) তাঁর দাস ও প্রেরিত দূত। ২. নামাজ কায়েম করা ৩. যাকাত দেয়া ৪. রমযানের রোযা রাখা ৫. হজ্ব করা (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত)।

তিনি (স.) বলেন, আলস্নাহর দাস ও অবিশ্বাসীদের কাজের মধ্যে পার্থক্য হল নামাজ না পড়া (মুসলিম)। মুমিন ও অংশিবাদীদের মধ্যে তফাৎ হলো নামাজ ছেড়ে দেওয়া (মুসলিম)। আমাদের ও তাদের মধ্যে যে অঙ্গীকার আছে তা হল নামাজ। অতএব যে ব্যক্তি নামাজ ছেড়ে দেয় সে নিশ্চয়ই অস্বীকার করে (আহমাদ, তিরমিযী, নাসায়ী)। যে ব্যক্তি নামাজ ছেড়ে দেয় সে ইসলামী মিলস্নাত থেকে বেরিয়ে যায় (তাবারানী)। যে ব্যক্তি নামাজ ছেড়ে দেয় সে অংশিবাদী হয়ে যায় (তাবারানী)।

আত্তাহিয়্যাতুর তত্ত্বকথা



আত্তাহিয়্যাতুর তত্ত্বকথা
-হোসাইন আল খালদুন

আত্তাহিয়্যাতুর তত্ত্বকথা
ইবনুল মালেক বলেন, বর্ণিত আছে যে, নবী সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম যখন মেরাজে যান তখন তিনি আত্তাহিয়্যাতুর শব্দগুলো দ্বারা আলস্নাহর গুণকীর্তন করেন। অতঃপর আলস্নাহ তায়ালা বলেন, "আস্সালা মু আলাইকা আইয়ু্যহান নাবিইয়ু্য অরহমাতুলস্নাহি অবারাকা-তুহু"। এরপর রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেন, 'আসসালা-মু আলাইনা অআলা-ইবা-দিলস্না-হিস্ স-লিহীন। তারপর জিব্রাইল (রা.) বলেন, আশহাদু আলস্না-ইলাহা ইলস্নালস্নাহু অআশহাদু আন্না মুহাম্মদান আবদুহু অরাসূলুহু।

এই বর্ণনায় 'হে নবী' বলে সম্বোধন করার কারণ স্পষ্ট হয়ে ওঠে এই যে, এটা নবী সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম এর মেরাজেরই বর্ণনা। নামায যেহেতু মোমেনদের মেরাজ সেজন্য নামাযের শেষে 'মেরাজের' তোহফা আত্তাহিয়্যাতুর দ্বারা সেই কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয় [মেশকাত, ১ম খন্ড, ৫৫৬ পৃঃ]।

তাশাহ্হোদের গুরুত্ব

ওমর (রা.) বলেন, তাশাহ্হুদ ছাড়া কোন নামাযই যথেষ্ট হয় না [মোসান্নাফ আবদুর রাযযাক, ২য় খন্ড, ২০৬ পৃঃ, সুনামে সায়ীদ ইবনে মনসুর, তারীখে বুখারী, আল আসয়েলাহ, ১ম খন্ড, ১৬৬ পৃঃ]। তাই ইবনে আব্বাস (রা.) ও জাবের (রা.) বলেন, রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম আমাদেরকে তাশাহ্হুদ ঐভাবে শেখাতেন যেমন কুরআনের কোন সূরা শেখাতেন (মুসলিম, নাসায়ী, মেশকাত ৮৫ পৃঃ)। ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহ ওয়া সালস্নাম আমাদেরকে নামাযের তাশাহ্হুদ ঐরূপ শেখাতেন যেমন কোন শিক্ষক ছোট ছেলেদের শেখান। ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমরা রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম এর যুগে এস্তেখারাহ এবং তাশাহ্হুদ ছাড়া আর কিছু লিখতাম না (মোসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা, ১ম খন্ড, ২৯৪ পৃঃ)। আবু সায়ীদ বলেন, আমরা কুরআন এবং তাশাহ্হুদ ছাড়া আর কিছু লিখতাম না। [ঐ, ২৯৩ পৃঃ]। ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আবু বাকর (রা.) তাঁদেরকে মেম্বারে বসে তাশাহ্হুদ শেখাতেন, যেমন শিশুদেরকে মক্তবে শেখানো হয় (ঐ, ২৯২ পৃঃ)।

রাসুলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেন, তোমরা তাশাহ্হুদ শিখে নাও। কারণ, তাশাহ্হুদ ছাড়া নামাযই নেই [বাযযার, তাবারানী আওসাত, কান্যুল ওমমাল, ৭ম খন্ড, ৩৩৯ পৃঃ)।

শাহাদত আঙ্গুল তোলার গুরুত্ব

তাশাহ্হুদে বসে আলস্নাহর সামনে আলস্নাহর রাসূল সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম এর দুই হাঁটু গেড়ে কালেমায়ে শাহাদত পড়াটা আলস্নাহর একত্ববাদের মৌখিক স্বীকৃতি ছিল এবং মৌখিক স্বীকৃতির সাথে সাথে শাহাদাত আঙ্গুল তোলাটা আলস্নাহর একত্ববাদের বাস্তব কাজেরই স্বীকৃতি। তাই এই আঙ্গুল তোলার গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য যে কত তা রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহ আলাইহি ওয়া সালস্নাম এর মুখ থেকেই শুনুন: তিনি বলেন, শাহাদাত আঙ্গুলটি শয়তানের ওপর লোহার (বলস্নমের) চেয়েও বেশী কষ্টদায়ক (মোসনাদে আহমাদ, মেশকাত, ৮৫ পৃঃ)। নামাযে প্রত্যেক ইশারার বদলে দশটি অর্থাৎ প্রত্যেক আঙ্গুলের বদলে একটি করে নেকী লেখা হয় [তারীখে হাকেম, কান্যুল ওমমাল, ৭ম খন্ড, ৩৪০ পৃঃ]।

ইশারা কোন জায়গায় করতে হবে

ইমাম নববী বলেন, তাশাহ্হুদে "ইলস্নালস্নাহ" বলার সময় ইশারা করতে হবে। সুবুলুস সালা-ম ওয়ালা বলেন, বায়হাকীর বর্ণনানুসারে লা-ইলা ইলস্নালস্নাহ বলার সময় করতে হবে। আলস্নামা তীবী ইবনে ওমর বর্ণিত একটি হাদীসের বরাত দিয়ে বলেন, ইলস্নালস্না-হ বলার সময় ইশারা করতে হবে, যাতে কথায় ও কাজে তওহীদের সামঞ্জস্য হয়ে যায়। মোলস্না আলী কারী হানাফী বলেন, হানাফী মতে 'লা-ইলা-হা বলার সময় তুলতে হবে এবং ইলস্নালস্নাহ বলার সময় রেখে দিতে হবে। আলস্নামা আবদুর রহমান মোবারকপুরী বলেন, ঐসব মতের কোনটারই প্রমাণে আমি কোন সহীহ হাদীস পাইনি (তোহফাতুল আহঅযী, ১ম খন্ড, ২৪২ পৃঃ)। তবে ইলস্নালস্নাহর ওপরে ইশারা করাটা বেশী সঙ্গত মনে হয় (আফ্যালুস সলা-ত ২০৬-২০৭ পৃঃ)।

শাফেয়ীদের মতে 'ইলস্নালস্নাহ' বলার সময় আঙ্গুল দিয়ে একবার মাত্র এশারা করতে হবে। হানাফী মতে 'লা' বলার সময় তর্জনী আঙ্গুল তুলতে হবে এবং 'ইলস্নালস্নাহ বলার সময় তা রেখে দিতে হবে। মালেকী মতে আত্তাহিয়ু্যাতুর শুরু থেকে সালাম ফেরা পর্যন্ত আঙ্গুলটিকে ডানে ও বামে নাড়াতে হবে। হাম্বলীদের মতে যখন আলস্নাহর নাম উচ্চারণ হবে তখন আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করতে, কিন্তু তা নাড়াবে না (ফেক্হুস সুন্নাহ, ১ম খন্ড, ১৭০ পৃঃ)। ইবনে ওমর (রা.) বলেন, দ্বিতীয় রাকআতে একটু আরামের জন্যই কেবল তাশাহ্হুদ রাখা হয়েছে। তাই আয়েশা বলেন, নবী সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম দ্বিতীয় রাকআতের বৈঠকে শুধু আত্তাহিয়্যাত পড়তেন [ইবনে আবী শায়বা, ১ম খন্ড, ২৯৬ পৃঃ]।

Relaeted Other Islamic Blog

Other Blog-site: