আধ্যাত্মিকতা দ্বীন ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই দ্বীনে আধ্যাত্মিকতা ও জাগতিকতার সুষম সমন্বয় রয়েছে। আধ্যাত্মিকতায় রয়েছে এই দ্বীনের বিশাল শক্তিমত্ত্বা। এই সম্পর্ক কিছু জানার জন্য এই ব্লগ ব্রাউজ করুন:
https://spiritualaz.blogspot.com
আধ্যাত্মিকতা দ্বীন ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই দ্বীনে আধ্যাত্মিকতা ও জাগতিকতার সুষম সমন্বয় রয়েছে। আধ্যাত্মিকতায় রয়েছে এই দ্বীনের বিশাল শক্তিমত্ত্বা। এই সম্পর্ক কিছু জানার জন্য এই ব্লগ ব্রাউজ করুন:
https://spiritualaz.blogspot.com
সঠিক পদ্ধতি ও সহিহ নিয়তে করা মুমিনের কোনো নেক আমলই বৃথা যায় না। আল্লাহতায়ালার কাছে এর বিনিময় সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু মৃত্যুর পর যেহেতু কোনো আমল করা সম্ভব নয়, তাই সওয়াব ‘কামাই করা’ও অসম্ভব। তবে এমন কিছু আমল আছে, যা জীবদ্দশায় করে গেলে মৃত্যুর পরও সওয়াব ও উপকারিতার ধারা অব্যাহত থাকে। এগুলোকে সদকায়ে জারিয়া বলে।
‘সদকা’ শব্দের অর্থ দান করা। আর ‘জারিয়া’ অর্থ অব্যাহত। অর্থাৎ আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষে শরিয়তসম্মত এমন কল্যাণকর কাজে দান করা। ইসলামের বিধান মতে, সদকামাত্রই উপকারী ও বিরাট সওয়াবের কাজ। এর বহু প্রকার ও ধরন রয়েছে। কিছু সদকা আছে অস্থায়ী। যেমন কাউকে খাদ্যদ্রব্য দান করা। আর কিছু সদকা আছে স্থায়ী। যেমন মসজিদ নির্মাণ করা।
সদকায়ে জারিয়ার কারণে মৃত্যুর পরও দানকারীর ‘সওয়াব সঞ্চয়’ সমৃদ্ধ হতে থাকে। এর স্রোতধারা তার ‘পুণ্য তরি’কে চলমান রাখে। এটা আল্লাহতায়ালার বিশেষ নিয়ামত ও রহমত। মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আমলের ধারা বন্ধ হয়ে গেলেও জীবদ্দশায় নির্দিষ্ট কিছু আমল করে গেলে মৃত্যুর পরও সওয়াব জারি থাকে। অর্থাৎ মানুষ নিজেই নিজের জন্য সওয়াব পৌঁছার ব্যবস্থা করে যেতে পারে এবং চাইলে অন্য কেউও তাকে সওয়াব পৌঁছাতে পারে। এ উভয় পদ্ধতিই আল্লাহতায়ালার একান্ত দয়া ও অনুগ্রহ।
প্রথম পদ্ধতিটির নির্দিষ্ট কোনো নাম নেই। আলোচনার সহজতার জন্য একে ‘সওয়াব লাভের উপায়’ বলা যেতে পারে। আর দ্বিতীয় পদ্ধতিটি ‘ঈসালে সওয়াব’ নামে অধিক পরিচিত। সম্প্রতি কাতার প্রবাসী মাওলানা রফিক আহমদ সামাদ এমনই কিছু ভালো কাজের কথা উল্লেখ করেছেন, যা সদকায়ে জারিয়া হিসেবে খুব সহজেই আমল করা সম্ভব। কাজগুলো হলো-
১. একটি জায়নামাজ কিনে মসজিদে রেখে দিন, যে ব্যক্তি তাতে নামাজ আদায় করবে, ইনশাআল্লাহ আপনি সেই আমলের জন্য পুরস্কৃত হবেন।
২. একটি বাটি বা গ্লাসে কিছু পানি ঘরের জানালায় রেখে দিন পাখিদের জন্য, এটাও এক ধরনের সদকা।
৩. আপনার পুরাতন অথবা ব্যবহার হচ্ছে না এমন পোশাক গরিবকে দান করুন। সুযোগ থাকলে নতুন জামা যেদিন কিনবেন, সেদিনই এক সেট পুরাতন জামা দান করুন।
৪. আপনার রুমে একটি বক্স রাখুন এবং যখনই আপনি মনে করবেন যে আপনি কোনো অন্যায় করেছেন, তখনই তাতে সাধ্যমতো টাকা-পয়সা রাখুন। মাস শেষে তা খুলে দেখুন এবং তা দান করে দিন। এতে নিজের ভুলগুলোর পরিমাণ বুঝতে পারবেন এবং অনুতপ্ত হয়ে নিজেকে সংশোধনের জন্য এটা সুন্দর একটি পন্থা।
৫. বাড়িতে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে দোয়া লিখে রাখুন একটি কাগজে। যে এই দোয়াগুলো দেখতে পেয়ে পাঠ করবে- ইনশাআল্লাহ আপনি সেজন্য পুরস্কৃত হবেন। একইভাবে ঘরের এমন কোনো স্থানে দোয়া লিখে রাখতে পারেন- যেটা সবার নজরে আসে।
৬. আপনার হাত খরচের টাকা দিয়ে একজন এতিমকে সাধ্যমতো সহায়তা করুন। মাসের কোনো একদিন নাস্তা না করে এতিম কোনো শিশুকে খাবার খাইয়ে দিন।
৭. আপনার বাড়ির আশপাশে যদি কোনো নির্মাণ কাজ চলে কিংবা শ্রমিকেরা কাজ করে, তবে কিছু ঠাণ্ডা পানি বা খাবার তাদেরকে দিতে পারেন।
৮. কোনো মসজিদে কোরআন মজিদ রেখে দিন, যেকোনো ব্যক্তি যখন অন্তত একটি অক্ষর তেলাওয়াত করবে, তার জন্য ১০ গুণ সওয়াব লিখিত হবে আপনার আমলনামায়।
৯. আপনার পান করা গ্লাসের অবশিষ্ট পানি কোনো ফুলদানির পাত্রে রেখে দিন, অপচয় করবেন না।
১০. আপনার মুসলমান ভাইবোনদের উৎসাহ দিন, দুর্দিনে সাহায্য করুন, সহানুভূতিশীল হোন, কারণ এ সময়টায় তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকে।
১১. অসুস্থ আত্মীয় কিংবা পরিচিতদের দেখে আসুন। একটু হাসুন, কথা বলুন; এটাও সদকা। মৃদু হাসি বিনিময় করাও সদকা।
১২. ততক্ষণ পর্যন্ত ঘুমাবেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনাকে যারা কষ্ট দিয়েছে তাদের ক্ষমা করেছেন।
১৩. কাউকে এক অক্ষর হলেও দ্বীন শিক্ষা দিন। সেই ব্যক্তি যখন তার সন্তান-সন্ততি, বন্ধু-বান্ধব কিংবা তার সন্তানদের মাধ্যমে তার পরের প্রজন্ম এই দ্বীন অর্জন করবে, সে সব সওয়াব মৃত্যুর পরেও আপনার কবরে পৌঁছাবে- ইনশাআল্লাহ।
১৪. সামর্থ্য থাকলে মসজিদ, মাদরাসা, হাসপাতাল স্থাপনে সহায়তা করুন। গাছ লাগান, টিউবওয়েল বা পান করার পানির ব্যবস্থা করুন। আপনার মৃত্যুর পরেও মদজিদ-মাদরাসায় দ্বীন শিক্ষা চালু থাকবে, হাসপাতালে রোগীরা সেবা পেতে থাকবে, গাছ থেকে মানুষ অক্সিজেন এবং খাবার পাবে, পান করার পানি পান করতে পারবে আপনার ব্যবস্থা করে দেওয়া পানির উৎস থেকে। এ সব কিছু সদকায়ে জারিয়া। এগুলো মৃত্যুর পরেও আপনাকে পরকালের জন্য ধনী করতে থাকবে।
১৫. সন্তানদের উত্তম সন্তান হিসেবে গড়ে তুলুন। দ্বীন এবং মানবতা শিক্ষা দিন। তাদের দোয়া কবর পর্যন্ত পৌঁছাবে, আপনার থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা তাদের সঠিক মানুষ হতে সাহায্য করবে।
১৬. এই সদকার পন্থাগুলো মানুষের সঙ্গে শেয়ার করুন, আলোচনা করুন; তাদের শিক্ষা দিন। এটিও সদকায়ে জারিয়ার অন্তর্ভুক্ত।
-Source: https://barta24.com
যে সব আমল সদকায়ে জারিয়া।। Educational Video
রাছুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: “ইহ্ফাজিল্লাহা ইয়াহ্ফাজুকা” অর্থাৎ “আল্লাহর দ্বীনের হেফাজত কর, আল্লাহ তোমাকে হেফাজত করবেন” (মুসনাদে আহমদ, তিরমিযী,...