কানিতা ইশারা
‘রাম গরুড়ের ছানা, হাসতে তাদের মানা
হাসির কথা শুনলে বলে, হাসব? না, না, না’
সুকুমার রায়ের এই ছড়াটা শুনেছেন তো? কমবেশি সবারই ছড়াটা জানা বা শোনা। তবে এই রাম গরুড়ের ছানাদের মতো এমন অবস্থা আমাদের কারোরই নয়। আমরা সবাই হাসি, হাসতে ভালোবাসি। এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন যারা সারাদিন একবারও হাসে না। হাসি দু’প্রকারের। স্বপ্রণোদিত আর কৌতুকের ফলাফল। যেরকম হাসিই হোক না কেন তা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। আমাদের ভেতরের নেতিবাচক চিন্তা ও আবেগকে দূরে সরিয়ে রাখে হাসি। আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের অনেকখানি প্রসার ঘটে এই হাসির ফলেই। আমাদের সেল্ট্রস কমিয়ে দেয় হাসি।
প্রতিদিন আমরা হাসি ভিন্ন ভিন্ন কারণে। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কি হাসার পর আপনার কতটা প্রশান্তি লাগে? হাসির অনেক স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে, এজন্য হাসিকে বলা হয় মহৌষধ। মানুষ হাসে জোকস শুনে, হাসির সিনেমা দেখে অথবা হাসির কোনো বই পড়ে। হাসতে হলে চাই পরিমিত হাস্যরসবোধ। হাসি হলো মুখের বহিঃপ্রকাশ।
হাসি যে শুধু মুখের আকৃতির পরিবর্তন করে তা কিন্তু না, এটা আমাদের শরীরের ভেতরেও কিছু পরিবর্তন আনে। প্রাণবন্ত হাসি আমাদের শরীরের অর্গানগুলো সচল রাখে। শরীরের যে কোনো ক্ষত মোকাবেলায়ও বিরাট ভূমিকা রাখে এই হাসি। হাসি অনেক রোগকে প্রতিরোধ করতে পারে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
হাসি শরীরের অনেক হরমোনের মাত্রাকে কমিয়ে রাখে যা সরাসরি মানসিক চাপের সঙ্গে যুক্ত। হাসি মানসিক চাপ, বিষণম্নতা, উদ্বেগ, রাগ ও বিরক্তি থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। হরমোন নির্গমনের ব্যথা থেকেও আমাদের রক্ষা করে। এটা আমাদের মনোযোগ বাড়ায়, ধমনী ও হার্টের সুরক্ষা করে।
যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তাদেরও সমস্যা অনেকখানি কমিয়ে দেবে এই হাসি। এটা উচ্চ রক্তচাপের মাত্রাকে কমিয়ে দেয় এবং রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখে। হাসি পা, পেট, পিঠ ও মুখের মাংসপেশী সচল রাখতে বেশ কাজ দেয়। হজম ভালো হয়। দেহের বাড়তি ক্যালরি ক্ষয় করতে ও ওজন কমাতে হাসির ভূমিকা অনেকখানি। হাসি আত্ম নির্ভরশীলতা ও মানসিক শক্তি অনেকখানি বাড়িয়ে দেয়, যা আমাদের জীবনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। এটা আমাদের দৈনন্দিন ব্যস্ত জীবনের অনেক টেনশন থেকে মুক্ত রাখে।
অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এই হাসি। আমাদের কর্মোদ্যমী করে তোলে আর প্রতিদিনের কাজের প্রতি আগ্রহ বড়িয়ে দেয়।
এতো গেল স্বাস্থ্যগত দিকের কথা। কিন্তু হাসি সামাজিক জীবনেও অনেকখানি প্রভাব বিস্তার করে। হাসি হাসি মুখের একজন মানুষ কিন্তু সমাজে খুবই প্রিয় হয়। এটা দু’জন মানুষকে কাছাকাছি আনতে বেশ ভালো টনিকের কাজ করে। অপরিচিত কারও সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে একটি প্রাণবন্ত হাসি অসামান্য ভূমিকা রাখে।
হাসি আমাদের জীবনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকা, শক্তি বৃদ্ধি, সর্বোপরি একটি সুন্দর জীবনের জন্য হাসি খুবই জরুরি। তাই সবসময় হাসুন, হাসুন, হাসুন।
হাসির কথা শুনলে বলে, হাসব? না, না, না’
সুকুমার রায়ের এই ছড়াটা শুনেছেন তো? কমবেশি সবারই ছড়াটা জানা বা শোনা। তবে এই রাম গরুড়ের ছানাদের মতো এমন অবস্থা আমাদের কারোরই নয়। আমরা সবাই হাসি, হাসতে ভালোবাসি। এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন যারা সারাদিন একবারও হাসে না। হাসি দু’প্রকারের। স্বপ্রণোদিত আর কৌতুকের ফলাফল। যেরকম হাসিই হোক না কেন তা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। আমাদের ভেতরের নেতিবাচক চিন্তা ও আবেগকে দূরে সরিয়ে রাখে হাসি। আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের অনেকখানি প্রসার ঘটে এই হাসির ফলেই। আমাদের সেল্ট্রস কমিয়ে দেয় হাসি।
প্রতিদিন আমরা হাসি ভিন্ন ভিন্ন কারণে। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কি হাসার পর আপনার কতটা প্রশান্তি লাগে? হাসির অনেক স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে, এজন্য হাসিকে বলা হয় মহৌষধ। মানুষ হাসে জোকস শুনে, হাসির সিনেমা দেখে অথবা হাসির কোনো বই পড়ে। হাসতে হলে চাই পরিমিত হাস্যরসবোধ। হাসি হলো মুখের বহিঃপ্রকাশ।
হাসি যে শুধু মুখের আকৃতির পরিবর্তন করে তা কিন্তু না, এটা আমাদের শরীরের ভেতরেও কিছু পরিবর্তন আনে। প্রাণবন্ত হাসি আমাদের শরীরের অর্গানগুলো সচল রাখে। শরীরের যে কোনো ক্ষত মোকাবেলায়ও বিরাট ভূমিকা রাখে এই হাসি। হাসি অনেক রোগকে প্রতিরোধ করতে পারে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
হাসি শরীরের অনেক হরমোনের মাত্রাকে কমিয়ে রাখে যা সরাসরি মানসিক চাপের সঙ্গে যুক্ত। হাসি মানসিক চাপ, বিষণম্নতা, উদ্বেগ, রাগ ও বিরক্তি থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। হরমোন নির্গমনের ব্যথা থেকেও আমাদের রক্ষা করে। এটা আমাদের মনোযোগ বাড়ায়, ধমনী ও হার্টের সুরক্ষা করে।
যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তাদেরও সমস্যা অনেকখানি কমিয়ে দেবে এই হাসি। এটা উচ্চ রক্তচাপের মাত্রাকে কমিয়ে দেয় এবং রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখে। হাসি পা, পেট, পিঠ ও মুখের মাংসপেশী সচল রাখতে বেশ কাজ দেয়। হজম ভালো হয়। দেহের বাড়তি ক্যালরি ক্ষয় করতে ও ওজন কমাতে হাসির ভূমিকা অনেকখানি। হাসি আত্ম নির্ভরশীলতা ও মানসিক শক্তি অনেকখানি বাড়িয়ে দেয়, যা আমাদের জীবনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। এটা আমাদের দৈনন্দিন ব্যস্ত জীবনের অনেক টেনশন থেকে মুক্ত রাখে।
অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এই হাসি। আমাদের কর্মোদ্যমী করে তোলে আর প্রতিদিনের কাজের প্রতি আগ্রহ বড়িয়ে দেয়।
এতো গেল স্বাস্থ্যগত দিকের কথা। কিন্তু হাসি সামাজিক জীবনেও অনেকখানি প্রভাব বিস্তার করে। হাসি হাসি মুখের একজন মানুষ কিন্তু সমাজে খুবই প্রিয় হয়। এটা দু’জন মানুষকে কাছাকাছি আনতে বেশ ভালো টনিকের কাজ করে। অপরিচিত কারও সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে একটি প্রাণবন্ত হাসি অসামান্য ভূমিকা রাখে।
হাসি আমাদের জীবনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকা, শক্তি বৃদ্ধি, সর্বোপরি একটি সুন্দর জীবনের জন্য হাসি খুবই জরুরি। তাই সবসময় হাসুন, হাসুন, হাসুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন