আত্তাহিয়্যাতুর তত্ত্বকথা
-হোসাইন আল খালদুন
আত্তাহিয়্যাতুর তত্ত্বকথা
ইবনুল মালেক বলেন, বর্ণিত আছে যে, নবী সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম যখন মেরাজে যান তখন তিনি আত্তাহিয়্যাতুর শব্দগুলো দ্বারা আলস্নাহর গুণকীর্তন করেন। অতঃপর আলস্নাহ তায়ালা বলেন, "আস্সালা মু আলাইকা আইয়ু্যহান নাবিইয়ু্য অরহমাতুলস্নাহি অবারাকা-তুহু"। এরপর রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেন, 'আসসালা-মু আলাইনা অআলা-ইবা-দিলস্না-হিস্ স-লিহীন। তারপর জিব্রাইল (রা.) বলেন, আশহাদু আলস্না-ইলাহা ইলস্নালস্নাহু অআশহাদু আন্না মুহাম্মদান আবদুহু অরাসূলুহু।
এই বর্ণনায় 'হে নবী' বলে সম্বোধন করার কারণ স্পষ্ট হয়ে ওঠে এই যে, এটা নবী সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম এর মেরাজেরই বর্ণনা। নামায যেহেতু মোমেনদের মেরাজ সেজন্য নামাযের শেষে 'মেরাজের' তোহফা আত্তাহিয়্যাতুর দ্বারা সেই কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয় [মেশকাত, ১ম খন্ড, ৫৫৬ পৃঃ]।
তাশাহ্হোদের গুরুত্ব
ওমর (রা.) বলেন, তাশাহ্হুদ ছাড়া কোন নামাযই যথেষ্ট হয় না [মোসান্নাফ আবদুর রাযযাক, ২য় খন্ড, ২০৬ পৃঃ, সুনামে সায়ীদ ইবনে মনসুর, তারীখে বুখারী, আল আসয়েলাহ, ১ম খন্ড, ১৬৬ পৃঃ]। তাই ইবনে আব্বাস (রা.) ও জাবের (রা.) বলেন, রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম আমাদেরকে তাশাহ্হুদ ঐভাবে শেখাতেন যেমন কুরআনের কোন সূরা শেখাতেন (মুসলিম, নাসায়ী, মেশকাত ৮৫ পৃঃ)। ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহ ওয়া সালস্নাম আমাদেরকে নামাযের তাশাহ্হুদ ঐরূপ শেখাতেন যেমন কোন শিক্ষক ছোট ছেলেদের শেখান। ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমরা রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম এর যুগে এস্তেখারাহ এবং তাশাহ্হুদ ছাড়া আর কিছু লিখতাম না (মোসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা, ১ম খন্ড, ২৯৪ পৃঃ)। আবু সায়ীদ বলেন, আমরা কুরআন এবং তাশাহ্হুদ ছাড়া আর কিছু লিখতাম না। [ঐ, ২৯৩ পৃঃ]। ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আবু বাকর (রা.) তাঁদেরকে মেম্বারে বসে তাশাহ্হুদ শেখাতেন, যেমন শিশুদেরকে মক্তবে শেখানো হয় (ঐ, ২৯২ পৃঃ)।
রাসুলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেন, তোমরা তাশাহ্হুদ শিখে নাও। কারণ, তাশাহ্হুদ ছাড়া নামাযই নেই [বাযযার, তাবারানী আওসাত, কান্যুল ওমমাল, ৭ম খন্ড, ৩৩৯ পৃঃ)।
শাহাদত আঙ্গুল তোলার গুরুত্ব
তাশাহ্হুদে বসে আলস্নাহর সামনে আলস্নাহর রাসূল সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম এর দুই হাঁটু গেড়ে কালেমায়ে শাহাদত পড়াটা আলস্নাহর একত্ববাদের মৌখিক স্বীকৃতি ছিল এবং মৌখিক স্বীকৃতির সাথে সাথে শাহাদাত আঙ্গুল তোলাটা আলস্নাহর একত্ববাদের বাস্তব কাজেরই স্বীকৃতি। তাই এই আঙ্গুল তোলার গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য যে কত তা রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহ আলাইহি ওয়া সালস্নাম এর মুখ থেকেই শুনুন: তিনি বলেন, শাহাদাত আঙ্গুলটি শয়তানের ওপর লোহার (বলস্নমের) চেয়েও বেশী কষ্টদায়ক (মোসনাদে আহমাদ, মেশকাত, ৮৫ পৃঃ)। নামাযে প্রত্যেক ইশারার বদলে দশটি অর্থাৎ প্রত্যেক আঙ্গুলের বদলে একটি করে নেকী লেখা হয় [তারীখে হাকেম, কান্যুল ওমমাল, ৭ম খন্ড, ৩৪০ পৃঃ]।
ইশারা কোন জায়গায় করতে হবে
ইমাম নববী বলেন, তাশাহ্হুদে "ইলস্নালস্নাহ" বলার সময় ইশারা করতে হবে। সুবুলুস সালা-ম ওয়ালা বলেন, বায়হাকীর বর্ণনানুসারে লা-ইলা ইলস্নালস্নাহ বলার সময় করতে হবে। আলস্নামা তীবী ইবনে ওমর বর্ণিত একটি হাদীসের বরাত দিয়ে বলেন, ইলস্নালস্না-হ বলার সময় ইশারা করতে হবে, যাতে কথায় ও কাজে তওহীদের সামঞ্জস্য হয়ে যায়। মোলস্না আলী কারী হানাফী বলেন, হানাফী মতে 'লা-ইলা-হা বলার সময় তুলতে হবে এবং ইলস্নালস্নাহ বলার সময় রেখে দিতে হবে। আলস্নামা আবদুর রহমান মোবারকপুরী বলেন, ঐসব মতের কোনটারই প্রমাণে আমি কোন সহীহ হাদীস পাইনি (তোহফাতুল আহঅযী, ১ম খন্ড, ২৪২ পৃঃ)। তবে ইলস্নালস্নাহর ওপরে ইশারা করাটা বেশী সঙ্গত মনে হয় (আফ্যালুস সলা-ত ২০৬-২০৭ পৃঃ)।
শাফেয়ীদের মতে 'ইলস্নালস্নাহ' বলার সময় আঙ্গুল দিয়ে একবার মাত্র এশারা করতে হবে। হানাফী মতে 'লা' বলার সময় তর্জনী আঙ্গুল তুলতে হবে এবং 'ইলস্নালস্নাহ বলার সময় তা রেখে দিতে হবে। মালেকী মতে আত্তাহিয়ু্যাতুর শুরু থেকে সালাম ফেরা পর্যন্ত আঙ্গুলটিকে ডানে ও বামে নাড়াতে হবে। হাম্বলীদের মতে যখন আলস্নাহর নাম উচ্চারণ হবে তখন আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করতে, কিন্তু তা নাড়াবে না (ফেক্হুস সুন্নাহ, ১ম খন্ড, ১৭০ পৃঃ)। ইবনে ওমর (রা.) বলেন, দ্বিতীয় রাকআতে একটু আরামের জন্যই কেবল তাশাহ্হুদ রাখা হয়েছে। তাই আয়েশা বলেন, নবী সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম দ্বিতীয় রাকআতের বৈঠকে শুধু আত্তাহিয়্যাত পড়তেন [ইবনে আবী শায়বা, ১ম খন্ড, ২৯৬ পৃঃ]।
ইবনুল মালেক বলেন, বর্ণিত আছে যে, নবী সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম যখন মেরাজে যান তখন তিনি আত্তাহিয়্যাতুর শব্দগুলো দ্বারা আলস্নাহর গুণকীর্তন করেন। অতঃপর আলস্নাহ তায়ালা বলেন, "আস্সালা মু আলাইকা আইয়ু্যহান নাবিইয়ু্য অরহমাতুলস্নাহি অবারাকা-তুহু"। এরপর রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেন, 'আসসালা-মু আলাইনা অআলা-ইবা-দিলস্না-হিস্ স-লিহীন। তারপর জিব্রাইল (রা.) বলেন, আশহাদু আলস্না-ইলাহা ইলস্নালস্নাহু অআশহাদু আন্না মুহাম্মদান আবদুহু অরাসূলুহু।
এই বর্ণনায় 'হে নবী' বলে সম্বোধন করার কারণ স্পষ্ট হয়ে ওঠে এই যে, এটা নবী সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম এর মেরাজেরই বর্ণনা। নামায যেহেতু মোমেনদের মেরাজ সেজন্য নামাযের শেষে 'মেরাজের' তোহফা আত্তাহিয়্যাতুর দ্বারা সেই কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয় [মেশকাত, ১ম খন্ড, ৫৫৬ পৃঃ]।
তাশাহ্হোদের গুরুত্ব
ওমর (রা.) বলেন, তাশাহ্হুদ ছাড়া কোন নামাযই যথেষ্ট হয় না [মোসান্নাফ আবদুর রাযযাক, ২য় খন্ড, ২০৬ পৃঃ, সুনামে সায়ীদ ইবনে মনসুর, তারীখে বুখারী, আল আসয়েলাহ, ১ম খন্ড, ১৬৬ পৃঃ]। তাই ইবনে আব্বাস (রা.) ও জাবের (রা.) বলেন, রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম আমাদেরকে তাশাহ্হুদ ঐভাবে শেখাতেন যেমন কুরআনের কোন সূরা শেখাতেন (মুসলিম, নাসায়ী, মেশকাত ৮৫ পৃঃ)। ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহ ওয়া সালস্নাম আমাদেরকে নামাযের তাশাহ্হুদ ঐরূপ শেখাতেন যেমন কোন শিক্ষক ছোট ছেলেদের শেখান। ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমরা রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম এর যুগে এস্তেখারাহ এবং তাশাহ্হুদ ছাড়া আর কিছু লিখতাম না (মোসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা, ১ম খন্ড, ২৯৪ পৃঃ)। আবু সায়ীদ বলেন, আমরা কুরআন এবং তাশাহ্হুদ ছাড়া আর কিছু লিখতাম না। [ঐ, ২৯৩ পৃঃ]। ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আবু বাকর (রা.) তাঁদেরকে মেম্বারে বসে তাশাহ্হুদ শেখাতেন, যেমন শিশুদেরকে মক্তবে শেখানো হয় (ঐ, ২৯২ পৃঃ)।
রাসুলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম বলেন, তোমরা তাশাহ্হুদ শিখে নাও। কারণ, তাশাহ্হুদ ছাড়া নামাযই নেই [বাযযার, তাবারানী আওসাত, কান্যুল ওমমাল, ৭ম খন্ড, ৩৩৯ পৃঃ)।
শাহাদত আঙ্গুল তোলার গুরুত্ব
তাশাহ্হুদে বসে আলস্নাহর সামনে আলস্নাহর রাসূল সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম এর দুই হাঁটু গেড়ে কালেমায়ে শাহাদত পড়াটা আলস্নাহর একত্ববাদের মৌখিক স্বীকৃতি ছিল এবং মৌখিক স্বীকৃতির সাথে সাথে শাহাদাত আঙ্গুল তোলাটা আলস্নাহর একত্ববাদের বাস্তব কাজেরই স্বীকৃতি। তাই এই আঙ্গুল তোলার গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য যে কত তা রাসূলুলস্নাহ সালস্নালস্নাহ আলাইহি ওয়া সালস্নাম এর মুখ থেকেই শুনুন: তিনি বলেন, শাহাদাত আঙ্গুলটি শয়তানের ওপর লোহার (বলস্নমের) চেয়েও বেশী কষ্টদায়ক (মোসনাদে আহমাদ, মেশকাত, ৮৫ পৃঃ)। নামাযে প্রত্যেক ইশারার বদলে দশটি অর্থাৎ প্রত্যেক আঙ্গুলের বদলে একটি করে নেকী লেখা হয় [তারীখে হাকেম, কান্যুল ওমমাল, ৭ম খন্ড, ৩৪০ পৃঃ]।
ইশারা কোন জায়গায় করতে হবে
ইমাম নববী বলেন, তাশাহ্হুদে "ইলস্নালস্নাহ" বলার সময় ইশারা করতে হবে। সুবুলুস সালা-ম ওয়ালা বলেন, বায়হাকীর বর্ণনানুসারে লা-ইলা ইলস্নালস্নাহ বলার সময় করতে হবে। আলস্নামা তীবী ইবনে ওমর বর্ণিত একটি হাদীসের বরাত দিয়ে বলেন, ইলস্নালস্না-হ বলার সময় ইশারা করতে হবে, যাতে কথায় ও কাজে তওহীদের সামঞ্জস্য হয়ে যায়। মোলস্না আলী কারী হানাফী বলেন, হানাফী মতে 'লা-ইলা-হা বলার সময় তুলতে হবে এবং ইলস্নালস্নাহ বলার সময় রেখে দিতে হবে। আলস্নামা আবদুর রহমান মোবারকপুরী বলেন, ঐসব মতের কোনটারই প্রমাণে আমি কোন সহীহ হাদীস পাইনি (তোহফাতুল আহঅযী, ১ম খন্ড, ২৪২ পৃঃ)। তবে ইলস্নালস্নাহর ওপরে ইশারা করাটা বেশী সঙ্গত মনে হয় (আফ্যালুস সলা-ত ২০৬-২০৭ পৃঃ)।
শাফেয়ীদের মতে 'ইলস্নালস্নাহ' বলার সময় আঙ্গুল দিয়ে একবার মাত্র এশারা করতে হবে। হানাফী মতে 'লা' বলার সময় তর্জনী আঙ্গুল তুলতে হবে এবং 'ইলস্নালস্নাহ বলার সময় তা রেখে দিতে হবে। মালেকী মতে আত্তাহিয়ু্যাতুর শুরু থেকে সালাম ফেরা পর্যন্ত আঙ্গুলটিকে ডানে ও বামে নাড়াতে হবে। হাম্বলীদের মতে যখন আলস্নাহর নাম উচ্চারণ হবে তখন আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করতে, কিন্তু তা নাড়াবে না (ফেক্হুস সুন্নাহ, ১ম খন্ড, ১৭০ পৃঃ)। ইবনে ওমর (রা.) বলেন, দ্বিতীয় রাকআতে একটু আরামের জন্যই কেবল তাশাহ্হুদ রাখা হয়েছে। তাই আয়েশা বলেন, নবী সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়া সালস্নাম দ্বিতীয় রাকআতের বৈঠকে শুধু আত্তাহিয়্যাত পড়তেন [ইবনে আবী শায়বা, ১ম খন্ড, ২৯৬ পৃঃ]।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন