আলস্নাহর কাছে আত্মসমর্পণ ও ওহীর ভিত্তিতে জীবন পরিচালনার সিদ্ধান্ত: হাজী সাহেবানরা ইহরামের সময় সাদা সেলাই বিহীন দু'টুকরো কাপড় পরিধান এক দিকে অহংবোধ দূর করে অপরদিকে মৃতু্যর সময়ের কাফন পরার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তাঁরা এক আলস্নাহর কাছে আত্মসর্পণ, আলস্নাহর আইন ছাড়া কারো আইন মেনে চলবে না, আলস্নাহর সার্বভৌমত্বের বুনিয়াদে সমগ্র জীবনধারা পরিচালনা করবে বলে শপথ গ্রহণ করে। বিধায় হজ্ব থেকে ফিরে এসে এ ধারাগুলো খেয়াল রাখতে হবে।
বিশ্বজনীন ভ্রাতৃত্ব শিক্ষা: বিশ্ব মুসলিম হজ্ব সম্মেলন হতে গোটা মুসলমান জাতি ও আপনার দেশের উন্নতি সাধন এবং ইসলামকে জীবনের সর্বস্তরে বাস্তবায়নের কোন পরিকল্পনা ও কর্মসূচী গ্রহণ করে এনে থাকলে তদনুযায়ী অবশ্যই কাজ করবেন। একাকী বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকবেন না বরং মুসলমানদের সাথে সংঘবদ্ধভাবে জীবন-যাপন করবেন। বিশ্বভ্রাতৃত্ব, মানব ঐক্য ও অবিচ্ছেদ সংহতির যে মহান শিক্ষা হজ্জ থেকে নিয়ে এসেছেন তা বাস্তবায়নের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করবেন।
হজ্ব ত্যাগ-তিতিক্ষার আদর্শ: হজ্বের পবিত্র অনুষ্ঠান আলস্নাহর রাহে উৎসর্গকৃত প্রমাণের অধিকারী মুসলিম উম্মাহর মধ্যে হযরত ইব্রাহিম (আ.), ইসমাইল (আ.) ও হাজেরা (আ.) এর ত্যাগ-তিতিক্ষা, শ্রম, কুরবানি, আত্মসমর্পণ ও অগি্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সুমহান ঐতিহ্য হূদয়-মনকে অনুপ্রাণিত করে তোলে। তাদের ত্যাগ-তিতিক্ষার শিক্ষণীয় ঘটনাবলী মুসলিম মন-মানসকে অভিভূত করে ত্যাগ-তিতিক্ষা ও প্রেরণাকে জাগ্রত করে তোলে এবং সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের মধ্যে ত্যাগের মানসিকতা তৈরি করবেন।
হজ্বের শিক্ষা ভুলে না যাওয়া: হজ্ব হতে প্রত্যাবর্তনের পর বায়তুলস্নাহ শরীফ ও রওযা মুবারক যিয়ারতের যে নিয়ামত আলস্নাহ আপনাকে দান করেছেন তা ভুলে না যাওয়া এবং উদাসীন হয়ে ক্রীড়াকৌতুক, খেল-তামাশা ও পাপ কার্যে লিপ্ত হয়ে অকৃতজ্ঞ না হওয়া। কারণ মাকবুল হজ্বের নিদর্শন হলো- হজ্ব থেকে ফিরে এসে দুনিয়ার প্রতি অনাসক্ত এবং আখিরাতের জন্য অধিক উদগ্রীব হয়ে উঠা।
দুনিয়াবী আচরণের সাথে মিশে না যাওয়া: হজ্ব করে এসে যার তার কাছে তা বেহুদা বর্ণনা করে বেড়াবেন না। তাতে মনে রিয়া ও অহংকার জেগে উঠতে পারে। হজ্বে যে টাকা পয়সা ব্যয় হয়েছে তা উলেস্নখ করে আফসোস ও অহেতুক গল্প করবেন না। হজ্বে যে কষ্ট তকলীফ হয়েছে তা বর্ণনা করবেন না।
এসব কাজে হজ্বের সওয়াব বিনষ্ট হয়। বরং অত্যন্ত পরহেযগারীর সাথে বাকি যিন্দেগী অতিবাহিত করবেন। হজ্ব করে এসে অনেকে আবার হালাল কাজ কারবারও করতে চায় না। হালাল করতে গিয়ে হারামে পা রাখবেন না। এদিকে খেয়াল রেখে কাজ করতে হবে।
পুনরায় তাগুতের অনুস্মরণ না করা: মুসলমান সর্বক্ষেত্রেই মুসলমান। তিনি জীবনের সর্বক্ষেত্রেই একমাত্র আলস্নাহর দাসত্ব করবেন, অপর কারো নয়। কা'বা শরীফ, মসজিদ ও নিজ গৃহে আলস্নাহর আইন মেনে চলা এবং বহির্বাড়িতে, কাজ ও কারবারে, ব্যবসা-বাণিজ্যে, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় মানবরচিত আইন-কানুন মেনে চলা মুসলমানদের নিদর্শন নয়। বরং সর্বক্ষেত্রে একমাত্র আলস্নাহতায়ালার দেয়া আইন-কানুন মেনে নেয়াই হলো হজ্বের শিক্ষা। এই শিক্ষা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবেন।
দুনিয়ার নানাবিধ অন্যায় কাজের সাথে নিজেকে জড়িত না করা: কাবাঘর যিয়ারতের মাধ্যমে নিজেকে যে নিষ্পাপে পরিণত করলেন হজ্ব থেকে ফিরে সে ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। সুদ ঘুষের সাথে নিজেকে জড়িত করা যাবে না, হারাম খাওয়া যাবে না, অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ দখল করা যাবে না, ইয়াতিমের সম্পদ ভক্ষণ করা যাবে না, হজ্বে যাওয়ার আগে কোন অন্যায় কাজের সাথে জড়িত থাকলে ফিরে এসে পুনরায় তার সাথে জড়িত হওয়া যাবে না। নিজেকে আলস্নাহর রাস্তায় সঁপে দিতে হবে। নিজের জীবন ও সম্পদ আলস্নাহর রাস্তায় ব্যয় করতে হবে। অহংকার পরিত্যাগ করে আলস্নাহর কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
পরিশেষে বলা যায় হজ্ব থেকে ফিরে এসে হাজী সাহেবানদের দায়িত্ব আরো বেড়ে যায়। যে শিক্ষা নিয়ে হজ্ব থেকে ফিরে এসেছেন তা বাস্তবায়ন করার জন্য নিজের মনকে নিয়োজিত করবেন। আখিরাতের চিন্তা সর্বদা মনে জাগ্রত রেখেই তিনি গোটা জীবন অতিবাহিত করবেন এবং পার্থিব কাজের মোকাবিলায় পারলৌকিক কাজের প্রাধান্য দিবেন।
কারণ পার্থিব জীবনের আরম্ভ আছে এবং শেষও আছে। কিন্তু পারলৌকিক জীবনের আরম্ভ আছে, শেষ নেই। সুতরাং কেউ তার ক্ষণস্থায়ী যিন্দেগীর জন্য অনন্তকালের যিন্দেগী বরবাদ করতে পারে না।
বিশ্বজনীন ভ্রাতৃত্ব শিক্ষা: বিশ্ব মুসলিম হজ্ব সম্মেলন হতে গোটা মুসলমান জাতি ও আপনার দেশের উন্নতি সাধন এবং ইসলামকে জীবনের সর্বস্তরে বাস্তবায়নের কোন পরিকল্পনা ও কর্মসূচী গ্রহণ করে এনে থাকলে তদনুযায়ী অবশ্যই কাজ করবেন। একাকী বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকবেন না বরং মুসলমানদের সাথে সংঘবদ্ধভাবে জীবন-যাপন করবেন। বিশ্বভ্রাতৃত্ব, মানব ঐক্য ও অবিচ্ছেদ সংহতির যে মহান শিক্ষা হজ্জ থেকে নিয়ে এসেছেন তা বাস্তবায়নের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করবেন।
হজ্ব ত্যাগ-তিতিক্ষার আদর্শ: হজ্বের পবিত্র অনুষ্ঠান আলস্নাহর রাহে উৎসর্গকৃত প্রমাণের অধিকারী মুসলিম উম্মাহর মধ্যে হযরত ইব্রাহিম (আ.), ইসমাইল (আ.) ও হাজেরা (আ.) এর ত্যাগ-তিতিক্ষা, শ্রম, কুরবানি, আত্মসমর্পণ ও অগি্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সুমহান ঐতিহ্য হূদয়-মনকে অনুপ্রাণিত করে তোলে। তাদের ত্যাগ-তিতিক্ষার শিক্ষণীয় ঘটনাবলী মুসলিম মন-মানসকে অভিভূত করে ত্যাগ-তিতিক্ষা ও প্রেরণাকে জাগ্রত করে তোলে এবং সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের মধ্যে ত্যাগের মানসিকতা তৈরি করবেন।
হজ্বের শিক্ষা ভুলে না যাওয়া: হজ্ব হতে প্রত্যাবর্তনের পর বায়তুলস্নাহ শরীফ ও রওযা মুবারক যিয়ারতের যে নিয়ামত আলস্নাহ আপনাকে দান করেছেন তা ভুলে না যাওয়া এবং উদাসীন হয়ে ক্রীড়াকৌতুক, খেল-তামাশা ও পাপ কার্যে লিপ্ত হয়ে অকৃতজ্ঞ না হওয়া। কারণ মাকবুল হজ্বের নিদর্শন হলো- হজ্ব থেকে ফিরে এসে দুনিয়ার প্রতি অনাসক্ত এবং আখিরাতের জন্য অধিক উদগ্রীব হয়ে উঠা।
দুনিয়াবী আচরণের সাথে মিশে না যাওয়া: হজ্ব করে এসে যার তার কাছে তা বেহুদা বর্ণনা করে বেড়াবেন না। তাতে মনে রিয়া ও অহংকার জেগে উঠতে পারে। হজ্বে যে টাকা পয়সা ব্যয় হয়েছে তা উলেস্নখ করে আফসোস ও অহেতুক গল্প করবেন না। হজ্বে যে কষ্ট তকলীফ হয়েছে তা বর্ণনা করবেন না।
এসব কাজে হজ্বের সওয়াব বিনষ্ট হয়। বরং অত্যন্ত পরহেযগারীর সাথে বাকি যিন্দেগী অতিবাহিত করবেন। হজ্ব করে এসে অনেকে আবার হালাল কাজ কারবারও করতে চায় না। হালাল করতে গিয়ে হারামে পা রাখবেন না। এদিকে খেয়াল রেখে কাজ করতে হবে।
পুনরায় তাগুতের অনুস্মরণ না করা: মুসলমান সর্বক্ষেত্রেই মুসলমান। তিনি জীবনের সর্বক্ষেত্রেই একমাত্র আলস্নাহর দাসত্ব করবেন, অপর কারো নয়। কা'বা শরীফ, মসজিদ ও নিজ গৃহে আলস্নাহর আইন মেনে চলা এবং বহির্বাড়িতে, কাজ ও কারবারে, ব্যবসা-বাণিজ্যে, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় মানবরচিত আইন-কানুন মেনে চলা মুসলমানদের নিদর্শন নয়। বরং সর্বক্ষেত্রে একমাত্র আলস্নাহতায়ালার দেয়া আইন-কানুন মেনে নেয়াই হলো হজ্বের শিক্ষা। এই শিক্ষা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবেন।
দুনিয়ার নানাবিধ অন্যায় কাজের সাথে নিজেকে জড়িত না করা: কাবাঘর যিয়ারতের মাধ্যমে নিজেকে যে নিষ্পাপে পরিণত করলেন হজ্ব থেকে ফিরে সে ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। সুদ ঘুষের সাথে নিজেকে জড়িত করা যাবে না, হারাম খাওয়া যাবে না, অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ দখল করা যাবে না, ইয়াতিমের সম্পদ ভক্ষণ করা যাবে না, হজ্বে যাওয়ার আগে কোন অন্যায় কাজের সাথে জড়িত থাকলে ফিরে এসে পুনরায় তার সাথে জড়িত হওয়া যাবে না। নিজেকে আলস্নাহর রাস্তায় সঁপে দিতে হবে। নিজের জীবন ও সম্পদ আলস্নাহর রাস্তায় ব্যয় করতে হবে। অহংকার পরিত্যাগ করে আলস্নাহর কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
পরিশেষে বলা যায় হজ্ব থেকে ফিরে এসে হাজী সাহেবানদের দায়িত্ব আরো বেড়ে যায়। যে শিক্ষা নিয়ে হজ্ব থেকে ফিরে এসেছেন তা বাস্তবায়ন করার জন্য নিজের মনকে নিয়োজিত করবেন। আখিরাতের চিন্তা সর্বদা মনে জাগ্রত রেখেই তিনি গোটা জীবন অতিবাহিত করবেন এবং পার্থিব কাজের মোকাবিলায় পারলৌকিক কাজের প্রাধান্য দিবেন।
কারণ পার্থিব জীবনের আরম্ভ আছে এবং শেষও আছে। কিন্তু পারলৌকিক জীবনের আরম্ভ আছে, শেষ নেই। সুতরাং কেউ তার ক্ষণস্থায়ী যিন্দেগীর জন্য অনন্তকালের যিন্দেগী বরবাদ করতে পারে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন