Main Slogan:

হে ইমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর (সূরা বাকারা : ২০৮)

বুধবার, ১৮ আগস্ট, ২০১০

INCOME IN IIDUL FITR (ঈদের আয়-রোজগার)



ঈদের আয়-রোজগার
ঈদ সামনে রেখে বাজার এখন গরম। ক্রেতারা ঘরে থাকতে পছন্দ করছে না, বিক্রেতারাও পথের ধারে জমিয়ে বসেছে। পোশাকে ব্লকের কাজ করে আপনিও এ সময়ে ভালো আয় করতে পারেন। বিস্তারিত জানাচ্ছেন জোবায়দা লাবনী
প্রথমেই ক্রেতাশ্রেণী নির্দিষ্ট করুণ। ক্রেতাদের রুচি-পছন্দ জানতে বিভিন্ন পোশাকের দোকানে দিনকয়েক টহল দিতে পারেন। সে অনুযায়ী পোশাকের রং ও নকশা করতে হবে। আপনি যেহেতু নতুন তাই কিছু প্রচারণাও চালাতে হবে। প্রথম পর্যায়ে আত্দীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে কিছু অর্ডার নিতে পারেন। যেহেতু কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা ব্লকের পোশাক ব্যবহার করেন বেশি তাই তাঁদের হোস্টেলগুলোর সামনে বসার জায়গা ঠিক করে নিতে পারেন। আপনি নিজে না বসতে চাইলে হোস্টেলের কারো সঙ্গে চুক্তিতেও আসতে পারেন।
পুঁজি কেমন লাগবে
অল্প পুঁজিতেই এ ব্যবসা শুরু করা যায়। শুধু অর্ডার অনুযায়ী যদি কাজ করতে চান, তবে প্রাথমিকভাবে দুই হাজার টাকা দিয়েই শুরু করতে পারেন। আর যদি আনস্টিচ পোশাকে ব্লক করে বিক্রি করতে চান তবে পাঁচ হাজার টাকাই যথেষ্ট।
দরদাম
একরঙা শাড়ি পাইকারি দরে কিনতে হলে ১২ থেকে ৩৬টি কিনতে হয়। একটি শাড়ির দাম ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা। গজ কাপড় পাইকারি মূল্যে কিনতে হলে একসঙ্গে কমপক্ষে ৩০ গজ কিনতে হবে। সে ক্ষেত্রে এক গজ সুতি কাপড় ৩৫ থেকে ৬০ এবং সিনথেটিক কাপড় ৫০ থেকে ৮০ টাকা। ওড়না পাইকারি দরে কিনতে চাইলে একই ধরনের ওড়না কমপক্ষে ১২টি নিতে হবে। একটির দাম পড়বে ৮০ থেকে ১৫০ টাকা। এক্রামিন কালার ও রাসায়নিক দ্রব্যগুলো পাইকারি কিনতে হলে প্রতিটি কমপক্ষে এক কেজি কিনতে হবে। এক কেজি অ্যাক্রামিন কালারের মূল্য ১৪০ থেকে ৪২০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এক কেজি বাইন্ডার ১৫০, হোয়াইট পেস্ট ১৮০, নিউটেক্স ৬০, এনকে ১৮০, এপিজোন ৮০ ও ম্যাটপেস্ট ৩২০ টাকায় বিক্রি হয়। নকশার জন্য বাজারে আম ও শিশু এই দুই ধরনের কাঠের ডাইস বিক্রি হয়। শিশু কাঠের ডাইস চারটির এক সেটের মূল্য ৩২০ থেকে ৩৭০, তিনটির সেটের মূল্য ২৮০ থেকে ৩০০ ও দুইটির সেটের মূল্য পড়বে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। আম কাঠের তৈরি ডাইস চারটির এক সেট ২২০ থেকে ২৫০, তিনটির সেট ১৮০ থেকে ২০০ ও দুইটির সেট ৯০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এ ছাড়া ছোট ছোট একক ডাইস পাঁচ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হয়।

যেখান থেকে কিনতে পারেন
ব্লক প্রিন্ট করার জন্য একরঙা শাড়ি কিনতে পারেন ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোডের নূরানী মার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, ইসলামপুর ও চকবাজার থেকে। গজ কাপড় ও ওড়না কিনতে পারেন গাউছিয়া, চাঁদনী চক, নিউমার্কেট, চকবাজার ও ইসলামপুর থেকে। বৃহৎ পরিসরে ব্যবসাটি শুরু করতে চাইলে ব্লকের ডাইস কিনতে পারেন নরসিংদীর মাধবদী থেকে আর বিভিন্ন ধরনের রং ও রাসায়নিক দ্রব্য কিনতে পারেন নারায়ণগঞ্জ অথবা কামরাঙ্গীরচর থেকে। তবে ছোট ও মাঝারি পরিসরে ব্যবসার জন্য এগুলো কিনতে পারেন এলিফ্যান্ট রোডের নূরানী মার্কেট, চকবাজার ও গুলিস্তানের গাউসুল আজম মার্কেট থেকে।

কেমন কাপড় লাগবে
সুতি ও সিনথেটিক উভয় ধরনের কাপড়ের ওপরই ব্লক প্রিন্ট করতে পারেন। শাড়ি, থ্রিপিস, ফতুয়ার পাশাপাশি বাচ্চাদের পোশাক, বিছানার চাদর, বালিশ, কুশন কভার, ওয়ালম্যাট প্রভৃতিতে এ প্রিন্ট করতে পারেন।

যা কিছু কিনতে হবে
কোন ধরনের পোশাক তৈরি করবেন তার ওপর ভিত্তি করে প্রথমেই আপনাকে একরঙা শাড়ি, গজ কাপড়, ওড়না ইত্যাদি কিনতে হবে। কিনতে হবে ব্লকের রং বা অ্যাক্রামিন কালার। এ রঙের বৈচিত্র্য ও স্থায়িত্ব বাড়াতে রঙের সঙ্গে মেশানোর জন্য কিনতে হবে বাইন্ডার, এনকে, হোয়াইট পেস্ট, ডিপ নিউটেক্স, ম্যাটপেস্ট প্রভৃতি রাসায়নিক দ্রব্য। নকশা করার জন্য কিনতে হবে বিভিন্ন আকার ও নকশার ডাইস।

জানতে হবে যেসব বিষয়
কাপড়ের ধরন অনুযায়ী রং ও রাসায়নিক দ্রব্যের অনুপাত নির্ধারিত হয়। এগুলো কী অনুপাতে মেশাতে হবে, সে বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে। বাজারে মাত্র ৮-১০টি অ্যাক্রামিন কালার বিক্রি হয়। বাকি রংগুলো বিভিন্ন রঙের সমন্বয়ে নিজেকেই তৈরি করতে হবে। সে ক্ষেত্রে কোন কোন রঙের সমন্বয়ে কী রং উৎপন্ন হয় সেটি জেনে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, একই পোশাকে একই নকশার ক্ষেত্রে রংগুলো যেন একটি থেকে অন্যটি বেশি হালকা বা গাঢ় না হয়ে যায়

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Relaeted Other Islamic Blog

Other Blog-site: