Main Slogan:

হে ইমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর (সূরা বাকারা : ২০৮)

শুক্রবার, ২০ আগস্ট, ২০১০

রোজা রাখার ক্ষেত্রে রোগীদের কোনো নিষেধ আছে কি?



রোজা রাখার ক্ষেত্রে রোগীদের কোনো নিষেধ আছে কি?

রোজা না রাখার ব্যাপারে অনেকেই অজুহাত খোঁজেন ৷ বিশেষ করে কারও যদি সামান্য কোনো অসুস্ট্হতা থাকে তাহলে তিনি রোজা না রাখার পেছনে সেই অজুহাতকেই হাতে তুলে নেন ৷ অথচ সত্যি কথা হচ্ছে সামান্য অসুস্ট্হতা দহৃরে থাক, অনেক কদ্ধনিক রোগ অর্থাত্ দীর্ঘস্ট্হায়ী নিয়ল্পপণযোগ্য বিভিল্পম্ন রোগেও রোজা রাখার ব্যাপারে কোনো নিষেধ নেই ৷ বরং বিভিল্পম্ন রোগে রোজা রাখার ব্যাপারে উত্সাহিত করা হয়েছে ৷ আর সুস্ট্হ অবস্ট্হায় রোজা রাখা যে শরীরের জন্য উপকারী সে কথা এখন প্রায় সবারই জানা ৷ রোজার সঙ্গে যেহেতু না খেয়ে থাকার একটা সম্ঙ্র্ক রয়েছে ৷ তাই পেপটিক আলসার কিংবা বদহজম ও বুকজ্বলার সমস্যায় আকদ্ধাল্পস্ন রোগীদের অনেকেই বলে থাকেন রোজা রাখলে এ সমস্যা বেড়ে যাবে ৷ আর এ কারণে তারা রোজা রাখেন না ৷ আসলে এ ধারণা কিল্পস্নু একদম সত্যি নয় ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে এ জাতীয় সমস্যায় আকদ্ধাল্পস্ন রোগীদের জন্য রোজা ভালো ৷ তবে এসব সমস্যার জন্য কেউ যদি ওষুধ খেয়ে থাকেন তাহলে তাকে সে ওষুধ কিল্পস্নু খেতে হবে ৷ ডায়াবেটিক রোগীদের অনেকেই রোজা না রাখার পেছনে এই রোগটিকে দায়ী করে থাকেন ৷ কিল্পস্নু বিশেষজ্ঞদের মতে ডায়াবেটিক আকদ্ধাল্পস্ন রোগীদের ক্ষেত্রে রোজা রাখতে কোনো নিষেধ নেই ৷ মোটামুটিভাবে নিয়ল্পিপত ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে খুব সহজেই রোজা রাখা সল্ফ্ভব ৷ তবে রোজা রাখার জন্য ডায়াবেটিস নিয়ল্পপণের ইনসুলিন কিংবা কোনো ওষুধ গ্রহণের সময়টাকে একটু পরিবর্তন করে সাহরি ও ইফতারের সঙ্গে সমল্প্বয় করে নিতে হবে ৷ এ ব্যাপারে একজন হরমোন বিশেষজ্ঞ কিংবা মেডিসিন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে সিদব্দাল্পস্ন নেয়া যেতে পারে ৷ আমাদের দেশে অনেক হাঁপানি রোগী আছেন ৷ হাঁপানি রোগীদের কেউ কেউ মনে করেন রোজা না রাখার কারণ হিসেবে হাঁপানির কথা বলে থাকেন ৷ আসলে রোজা কোনোভাবেই হাঁপানি রোগ বাড়িয়ে দিতে কোনো ভহৃমিকা রাখে না ৷ বরং বিশেষজ্ঞদের মতামত হচ্ছে রোজা হাঁপানি রোগীকে কিছুটা স্ট্বস্টিস্ন এনে দেয় ৷ হূদরোগীদের জন্য রোজা রাখা খুবই উপকারী ৷ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ল্পপণসহ কোলেস্টেল্টরলের মাত্রা নিয়ল্পপণেও রোজা বিশেষ গুরুত্ম্বপহৃর্ণ ভহৃমিকা পালন করে থাকে ৷ এক গবেষণায় দেখা গেছে, রোজা রাখার মাধ্যমে রোগীদের কোলেস্টেল্টরল মাত্রা প্রায় ১০-২০ শতাংশ কমে গেছে ৷ একইসঙ্গে তাদের উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতাও কমে যায় ৷ আজকাল অনেকেই স্ট্বাস্ট্হ্যসল্ফ্মত জীবন-যাপনের কথা ভাবেন ৷ সুস্ট্হভাবে বেঁচে থাকার চেদ্বা করেন, ঠিক রাখতে চান ফিগারটিকেও ৷ এ সবকিছুর ক্ষেত্রে রোজা ইতিবাচক ভহৃমিকা রাখতে পারে ৷ তবে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই রোজা রাখার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার গ্রহণের ব্যাপরেও সচেতন হতে হবে ৷ অপরিমিত অস্ট্বাস্ট্হ্যকর ইফতার গ্রহণ রোজার সুফলকে মাটি করে দিতে পারে ৷ শেষ কথা হচ্ছে নিয়ল্পপণযোগ্য রোগে কিংবা সামান্য অসুস্ট্হতায় রোজা রাখতে কোনো নিষেধ নেই বরং রোজা রাখা রোগ নিয়ল্পপণে সাহায্য করে ৷ তবে তীব্র অসুস্ট্হতায় কিংবা জটিল রোগে রোজা রাখা ঠিক হবে না ৷ তবে এ বিষয়ে সিদব্দাল্পস্ন দেবেন সংশি্নদ্ব চিকিত্সক ৷

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Relaeted Other Islamic Blog

Other Blog-site: