-আবু সুফিয়ান কবির
নারীদের প্রধান অনুষঙ্গ অবশ্যই গয়না। তবে গয়না বলতে এক সময় শুধু সোনা বা রুপার গয়না সবাই পরত। অনেক অতীতে ফুল দিয়ে নিজেকে সজ্জিত করার মাধ্যমে মানুষ গয়নার ব্যবহারের কথা উপলব্ধি করতে থাকে। ইতিহাস থেকে প্রমাণ পাওয়া যায়, গয়নার প্রচলন শুরু আজ থেকে প্রায় ছয় হাজার বছর আগে। বাংলাদেশে গয়না এখন একটি ডিজাইনেবল ও আকর্ষণীয় অনুষঙ্গ। বুটিক হাউসগুলোর মধ্যে আডং, কুমুদিনী, প্রবর্তনা, অরণ্য, আইডিয়া, মায়াসীর, যাত্রা নিজস্ব ডিজাইনের গয়না তৈরি ও বিপণন করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। তৈরি করেছে নিজের ব্রান্ড ইমেজ। মাটির গয়না তৈরি করে জয়েদুর রহমান জয়েদ বেশ নাম করেছে তার প্রতিষ্ঠানের নাম ‘সেপ অ্যান্ড ফ্রম’। বাবুল মেটালের বাবুল এক অসাধারণ গয়না শিল্পী। এ শিল্পের সঙ্গে আরও যাদের নাম জড়িত তারা হলেন আবরারুর রহমান, পাপা, মিলিতা চৌধুরী, আদনাম রশীদ। বিগত কয়েক বছর ধরে গয়নার বাজারে যে প্রতিষ্ঠানটি বেশ সুনাম কুড়িয়েছে তার নাম ‘মম’। এখানকার ডিজাইন করা গয়না আধুনিক তরুণীদের রূপ সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। ‘মম’র প্রধান ডিজাইনার আনন্দ দাশ জানালেন, গয়নার বাজারে ইমিটেশন বা গোল্ড প্লেটেড গয়নার চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণ ও বর্তমান বাজার সম্পর্কে। তার মতে, “এক সময় সোনা বা রুপার গয়না দিয়ে নিজেকে সাজানোর প্রচলন ছিল। মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হলো ইমিটেশন গয়নার প্রচলন। আধুনিক আঙ্গিকে তৈরি বিভিন্ন রংয়ের গয়নার ওপর বিভিন্ন ধরনের স্টোন দিয়ে সাজিয়ে গয়না বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হয় ১০ বছর ধরে। এভাবে প্রথমে আমরা গয়নার বিভিন্ন ডিজাইনের ফিগার তৈরি করি। পরবর্তী সময়ে সেটার ওপর গোল্ডপ্লেট বার্নিশ দেয়া হয়। তারপর বিভিন্ন ধরনের পাথর দিয়ে তা সাজানো হয়। ফিগারের ওপর পাথর সাজানোর কাজটি বেশ দক্ষতার সঙ্গে করতে হয়। এখানেই একটি গয়নার সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। তবে ফিগার তৈরি ও ফিনিশিংয়ের কাজটির প্রতিও বেশ নজর দিতে হয়। নারীদের সৌন্দর্য বিকাশে গয়নাটি যেন আকর্ষণীয় হয় সেদিকে বেশ খেয়াল রাখা প্রয়োজন গয়নার ডিজাইনারদের। স্টোনটি হতে হয় খাঁটি। এসব বিষয় খেয়াল রেখেই গয়না তৈরি করে ‘মম’।”
প্রচলিত মূল ধারার গয়নার বাইরে আরও আছে আদিবাসীদের গয়না। তারা সাধারণত পরে বিশেষ বৈশিষ্ট্যের গয়না, যার মোটিফ প্রমাণ করে এটা তাদের গয়না। তবে আদিবাসী গয়না ও অয়েস্টান গয়নার সঙ্গে আধুনিক গয়নার মিশেল ঘটিয়েছে নবীন গয়না ডিজাইনাররা।
আনন্দ আরও জানালেন, ‘মম’র উল্লেখযোগ্য গয়নার মধ্যে আছে কানের দুল, কানের ঝুমকা, নাকের নথ, টিকলি, গলার হার, গলার মালা, নেকলেস, বিছা, মল, আংটি, বাজুবন্ধ, অনন্ত, হাঁসুলি, চুরি ও বালা ইত্যাদি। বসুন্ধরা সিটির নিচতলায় অবস্থিত ‘মম’তে চাহিদামত পছন্দের স্টোন দিয়ে মাত্র আধঘণ্টার মধ্যে গয়না তৈরি করে দেয়া হয়। কেউ কেউ নিজের পোশাকের রংয়ের সঙ্গে মিল রেখে গয়না তৈরি করে থাকে। সে ক্ষেত্রেও ‘মম’র রয়েছে বিশেষ সুযোগ। কেননা ছয়জন কারুশিল্পী সব সময় আপনার পছন্দের গয়নাটি তৈরি করে দেবে—এ ক্ষেত্রে সময় লাগবে ২০ থেকে ৯০ মিনিট। যদি আপনি গর্জিয়াস ডিজাইনের গয়না তৈরি করতে চান তাহলে আপনার কাঙ্ক্ষিত ডিজাইনের নকশা তাদের দিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে ডিজাইনের নকশার ড্রইং করতে আপনাকে সাহায্য করেন ডিজাইনার আনন্দ নিজেই। অর্থাত্ আপনি যা চান তার হুবহু গয়না সরবরাহ করবে ‘মম’। আকার, ডিজাইন, মেটালের ব্যবহার ও কালার মেচিংয়ের ওপর গয়নার দাম নির্ধারণ করা হয়।’
বর্তমানে কারুশিল্পীরা যেসব উপকরণ দিয়ে গয়না তেরি করছে তার মধ্যে আছে—ফলের বীচি, কাঠ, ঝিনুক, কড়ি, নারকেলের খোল, কাঁসা ও মাটি। এ গয়নাগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো—এগুলো পরিবেশবান্ধব। তবে নতুন প্রজন্মের ডিজাইনাররা বেশ সফল হচ্ছে। এখানে প্রায় প্রতি ব্যান্ড আইটেমের দোকানে পাওয়া যায় নিজস্ব ডিজাইনের পোশাক। যেসব শোরুমে নিজস্ব ডিজাইনের গয়না পাওয়া যাবে তার মধ্যে আছে অঞ্জন’স, কে ক্র্যাফট, দেশাল, নিপুণ, বাংলার মেলা, পিরান অন্যমেলা, নিত্যউপহারসহ আরও বেশকিছু ব্রান্ড আইটেমের দোকান। এছাড়া চাঁদনিচক, গাউছিয়া, নিউমার্কেটে পাওয়া যায় ইমিটেশনের গয়না।
গয়নার রং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমানে সব ধরনের রংয়ের গয়না পাওয়া যায় যার। ডিজাইনার আনন্দ জানালেন, ‘বর্তমানে যেসব রং বেশি চলছে তার মধ্যে আছে ‘অলিভ, গোল্ডেন হলুদ, জাম, লাল, কমলা, মেরিগোল্ড, মেরুন, সাদা, অফহোয়াইট, কালো, পিচ, পেঁয়াজ, কাঁঠালি হলুদ, বটল গ্রিন, নীল, সবুজ, ফিরোজাসহ আরও অনেক ধরনের রং’।
বর্তমান গয়নার ডিজাইন শুধু নান্দনিক দিকটি ফুটে ওঠে না। একেকটি গয়না যেন সৃজনশীলতার প্রকাশ। নারীদের সৌন্দর্য বিকাশের প্রধান অনুষঙ্গ।
প্রচলিত মূল ধারার গয়নার বাইরে আরও আছে আদিবাসীদের গয়না। তারা সাধারণত পরে বিশেষ বৈশিষ্ট্যের গয়না, যার মোটিফ প্রমাণ করে এটা তাদের গয়না। তবে আদিবাসী গয়না ও অয়েস্টান গয়নার সঙ্গে আধুনিক গয়নার মিশেল ঘটিয়েছে নবীন গয়না ডিজাইনাররা।
আনন্দ আরও জানালেন, ‘মম’র উল্লেখযোগ্য গয়নার মধ্যে আছে কানের দুল, কানের ঝুমকা, নাকের নথ, টিকলি, গলার হার, গলার মালা, নেকলেস, বিছা, মল, আংটি, বাজুবন্ধ, অনন্ত, হাঁসুলি, চুরি ও বালা ইত্যাদি। বসুন্ধরা সিটির নিচতলায় অবস্থিত ‘মম’তে চাহিদামত পছন্দের স্টোন দিয়ে মাত্র আধঘণ্টার মধ্যে গয়না তৈরি করে দেয়া হয়। কেউ কেউ নিজের পোশাকের রংয়ের সঙ্গে মিল রেখে গয়না তৈরি করে থাকে। সে ক্ষেত্রেও ‘মম’র রয়েছে বিশেষ সুযোগ। কেননা ছয়জন কারুশিল্পী সব সময় আপনার পছন্দের গয়নাটি তৈরি করে দেবে—এ ক্ষেত্রে সময় লাগবে ২০ থেকে ৯০ মিনিট। যদি আপনি গর্জিয়াস ডিজাইনের গয়না তৈরি করতে চান তাহলে আপনার কাঙ্ক্ষিত ডিজাইনের নকশা তাদের দিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে ডিজাইনের নকশার ড্রইং করতে আপনাকে সাহায্য করেন ডিজাইনার আনন্দ নিজেই। অর্থাত্ আপনি যা চান তার হুবহু গয়না সরবরাহ করবে ‘মম’। আকার, ডিজাইন, মেটালের ব্যবহার ও কালার মেচিংয়ের ওপর গয়নার দাম নির্ধারণ করা হয়।’
বর্তমানে কারুশিল্পীরা যেসব উপকরণ দিয়ে গয়না তেরি করছে তার মধ্যে আছে—ফলের বীচি, কাঠ, ঝিনুক, কড়ি, নারকেলের খোল, কাঁসা ও মাটি। এ গয়নাগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো—এগুলো পরিবেশবান্ধব। তবে নতুন প্রজন্মের ডিজাইনাররা বেশ সফল হচ্ছে। এখানে প্রায় প্রতি ব্যান্ড আইটেমের দোকানে পাওয়া যায় নিজস্ব ডিজাইনের পোশাক। যেসব শোরুমে নিজস্ব ডিজাইনের গয়না পাওয়া যাবে তার মধ্যে আছে অঞ্জন’স, কে ক্র্যাফট, দেশাল, নিপুণ, বাংলার মেলা, পিরান অন্যমেলা, নিত্যউপহারসহ আরও বেশকিছু ব্রান্ড আইটেমের দোকান। এছাড়া চাঁদনিচক, গাউছিয়া, নিউমার্কেটে পাওয়া যায় ইমিটেশনের গয়না।
গয়নার রং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমানে সব ধরনের রংয়ের গয়না পাওয়া যায় যার। ডিজাইনার আনন্দ জানালেন, ‘বর্তমানে যেসব রং বেশি চলছে তার মধ্যে আছে ‘অলিভ, গোল্ডেন হলুদ, জাম, লাল, কমলা, মেরিগোল্ড, মেরুন, সাদা, অফহোয়াইট, কালো, পিচ, পেঁয়াজ, কাঁঠালি হলুদ, বটল গ্রিন, নীল, সবুজ, ফিরোজাসহ আরও অনেক ধরনের রং’।
বর্তমান গয়নার ডিজাইন শুধু নান্দনিক দিকটি ফুটে ওঠে না। একেকটি গয়না যেন সৃজনশীলতার প্রকাশ। নারীদের সৌন্দর্য বিকাশের প্রধান অনুষঙ্গ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন