-আবু তাসনিয়া
এক. নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকের ওপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব। জাকাত ও সদ্কায়ে ফিতরের মধ্যে পার্থক্য এই যে, জাকাত ওয়াজিব হওয়ার জন্য নিসাব পরিমাণ সম্পদ মালিকের কাছে পূর্ণ এক বছর থাকতে হবে। পক্ষান্তরে সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হওয়ার জন্য বছর অতিক্রান্ত হওয়া আবশ্যক নয়; বরং ঈদের দিন সুবহে সাদিকের সময় কেউ নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তার ওপরও সদ্কায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে।
দুই. গম, গমের আটা, যব, যবের আটা, খেজুর, পনির ও কিশমিশ দিয়ে ফিতরা আদায় করা যায়। গম বা গমের আটা দ্বারা ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা (১ কেজি ৬৫০ গ্রাম) এবং যব বা যবের আটা, খেজুর, কিশমিশ কিংবা পনির দ্বারা আদায় করলে এক সা (৩ কেজি ৩০০ গ্রাম) দিতে হবে। রুটি, চাল বা অন্য খাদ্যদ্রব্য দিয়ে ফিতরা দিতে হলে মূল্য হিসেবে দিতে হবে।
তিন. ঈদের রাতে সুবহে সাদিকের আগে ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুর সদ্কায়ে ফিতর ওয়াজিব। আর সুবহে সাদিকের পর ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব নয়।
চার. ঈদের রাতে সুবহে সাদিকের আগে কেউ মারা গেলে তার ওপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব নয়। আর সুবহে সাদিকের পর মারা গেলে সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে।
পাঁচ. একই হুকুম যে ব্যক্তি সুবহে সাদিকের আগে মুসলমান হবে তার ওপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব। সুবহে সাদিকের পর মুসলমান হলে ওয়াজিব নয়।
ছয়. ঈদের দিন ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে সদকায়ে ফিতর আদায় করা উত্তম। যদি তা না করে তবে ঈদের নামাজের পর তা আদায় করতে হবে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত সদকায়ে ফিতর আদায় না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তা আদায় করা ওই ব্যক্তির জন্য আবশ্যক হবে।
সাত. নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নয় অর্থাত্ যার ওপর কোরবানি ও সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব নয়, এমন ব্যক্তিকে সদ্কায়ে ফিতর দেয়া জায়েজ।
আট. নিজের আত্মীয়-স্বজনকে সদকায়ে ফিতর দেয়া যাবে, তবে বাবা-মা নিজ সন্তানকে এবং সন্তান নিজ বাবা-মা, দাদা-দাদি ও নানা-নানিকে সদকা দিতে পারবে না।
নয়. গরিব মুসলমানকে সদকায়ে ফিতরের মালিক বানিয়ে দিতে হবে। সদকায়ে ফিতরের টাকা সরাসরি মসজিদ-মাদ্রাসা ইত্যাদির কাজে লাগানো যাবে না।
দশ. এক ব্যক্তির সদকায়ে ফিতর একাধিক গরিবকে দেয়া যায় এবং একাধিক ব্যক্তির সদকায়ে ফিতর একজন গরিবকে দেয়া যায়।
দুই. গম, গমের আটা, যব, যবের আটা, খেজুর, পনির ও কিশমিশ দিয়ে ফিতরা আদায় করা যায়। গম বা গমের আটা দ্বারা ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা (১ কেজি ৬৫০ গ্রাম) এবং যব বা যবের আটা, খেজুর, কিশমিশ কিংবা পনির দ্বারা আদায় করলে এক সা (৩ কেজি ৩০০ গ্রাম) দিতে হবে। রুটি, চাল বা অন্য খাদ্যদ্রব্য দিয়ে ফিতরা দিতে হলে মূল্য হিসেবে দিতে হবে।
তিন. ঈদের রাতে সুবহে সাদিকের আগে ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুর সদ্কায়ে ফিতর ওয়াজিব। আর সুবহে সাদিকের পর ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব নয়।
চার. ঈদের রাতে সুবহে সাদিকের আগে কেউ মারা গেলে তার ওপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব নয়। আর সুবহে সাদিকের পর মারা গেলে সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে।
পাঁচ. একই হুকুম যে ব্যক্তি সুবহে সাদিকের আগে মুসলমান হবে তার ওপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব। সুবহে সাদিকের পর মুসলমান হলে ওয়াজিব নয়।
ছয়. ঈদের দিন ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে সদকায়ে ফিতর আদায় করা উত্তম। যদি তা না করে তবে ঈদের নামাজের পর তা আদায় করতে হবে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত সদকায়ে ফিতর আদায় না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তা আদায় করা ওই ব্যক্তির জন্য আবশ্যক হবে।
সাত. নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নয় অর্থাত্ যার ওপর কোরবানি ও সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব নয়, এমন ব্যক্তিকে সদ্কায়ে ফিতর দেয়া জায়েজ।
আট. নিজের আত্মীয়-স্বজনকে সদকায়ে ফিতর দেয়া যাবে, তবে বাবা-মা নিজ সন্তানকে এবং সন্তান নিজ বাবা-মা, দাদা-দাদি ও নানা-নানিকে সদকা দিতে পারবে না।
নয়. গরিব মুসলমানকে সদকায়ে ফিতরের মালিক বানিয়ে দিতে হবে। সদকায়ে ফিতরের টাকা সরাসরি মসজিদ-মাদ্রাসা ইত্যাদির কাজে লাগানো যাবে না।
দশ. এক ব্যক্তির সদকায়ে ফিতর একাধিক গরিবকে দেয়া যায় এবং একাধিক ব্যক্তির সদকায়ে ফিতর একজন গরিবকে দেয়া যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন