ঈদ আনন্দ যাদের জন্য
-মুহাম্মদ তৈয়্যেব হোসাইন
ঈদের ফজিলত এবং করণীয় বর্ণনা করতে গিয়ে হজরত শায়খ আবদুল কাদির জিলানী (রহ.) বলেন—
‘ঈদ তাদের জন্য নয়, যারা পানাহারে নিমজ্জিত। ঈদ তাদের জন্য যারা ইখলাছ ও নিষ্ঠার সঙ্গে ইবাদতে লিপ্ত।’
‘ঈদ তাদের জন্য নয়, যারা ভালো ও উত্তম কাপড় পরিধান করে সুসজ্জিত। ঈদ তাদেরই জন্য যারা খোদায়ি সতর্কবাণীতে ভীতসন্ত্রস্ত।’
‘ঈদ তাদের জন্য নয়, যারা সুগন্ধি ব্যবহার করে সুরভিত। ঈদ তাদেরই জন্য যারা নিজের গোনাহ থেকে তওবার মাধ্যমে আল্লাহ থেকে ক্ষমাপ্রাপ্ত।’
‘ঈদ তাদের জন্য নয়, যারা দুনিয়ার চাকচিক্যের পূজারত। ঈদ তাদেরই জন্য যারা তাকওয়া পরহেজগারিকে করে নিচ্ছে অনবরত।’
‘ঈদ তাদের জন্য নয়, যারা উন্নত আরোহণে আরোহিত, ঈদ তাদেরই জন্য যারা যাবতীয় গোনাহখাতা থেকে বিদুরিত।’
‘ঈদ তাদের জন্য নয় যারা ফরস ফুরুসে লাল গালিচার মতো। ঈদ তাদেরই জন্য যারা পুলসিরাত করতে পেরেছে অতিবাহিত।’
সুতরাং মুসলমানদের ঈদ, তাদের আনন্দ-উত্সবের মূল বক্তব্যই হলো আল্লাহর স্মরণ, আল্লাহর জিকির, আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব, আল্লাহর বড়ত্বকে দৃষ্টির সামনে রেখে সম্মিলিত আনন্দের পরিবেশ গড়ে তোলা। যাতে থাকবে নিজের পরিবারের, সমাজের, দেশের, সমগ্র দুনিয়ার অন্তর্ভুক্তি। থাকবে অন্তর্ভুক্তি ঈমানদার জীবিত সব মানুষ। মৃত জগতে যারা চলে গেছেন তারাও থাকবেন শামেলে হাল। এই আনন্দে অংশগ্রহণে ধনী-দরিদ্রে থাকবে না কোনো ভেদাভেদ। বরং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে এই আনন্দে একাকার করতে ইসলাম ধনীদের ওপর ওয়াজিব করেছে সদকায়ে ফিতর। সদকায়ে ফিতরে অন্তর্নিহিত অন্যতম তাত্পর্য হচ্ছে ঈদের আনন্দে ঈদের খুশিতে দরিদ্র শ্রেণীর লোকদেরও শামিল করে নেয়া। কেননা, ঈদের নামাজের আগেই যখন একজন অভাবী অনাহারি মানুষ কিছু পায়, তখন তা তার আনন্দের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সদকায়ে ফিতরের আরও একটি তাত্পর্য হলো, এটি রোজার জাকাত। জাকাত যেমন সম্পদকে পবিত্র করে সদকায়ে ফিতর তেমনি রোজাকে পবিত্র করে। মানুষ ভুল-ত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়। রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতির ক্ষতি পূরণ করে সদকাতুল ফিতর।
‘ঈদ তাদের জন্য নয়, যারা পানাহারে নিমজ্জিত। ঈদ তাদের জন্য যারা ইখলাছ ও নিষ্ঠার সঙ্গে ইবাদতে লিপ্ত।’
‘ঈদ তাদের জন্য নয়, যারা ভালো ও উত্তম কাপড় পরিধান করে সুসজ্জিত। ঈদ তাদেরই জন্য যারা খোদায়ি সতর্কবাণীতে ভীতসন্ত্রস্ত।’
‘ঈদ তাদের জন্য নয়, যারা সুগন্ধি ব্যবহার করে সুরভিত। ঈদ তাদেরই জন্য যারা নিজের গোনাহ থেকে তওবার মাধ্যমে আল্লাহ থেকে ক্ষমাপ্রাপ্ত।’
‘ঈদ তাদের জন্য নয়, যারা দুনিয়ার চাকচিক্যের পূজারত। ঈদ তাদেরই জন্য যারা তাকওয়া পরহেজগারিকে করে নিচ্ছে অনবরত।’
‘ঈদ তাদের জন্য নয়, যারা উন্নত আরোহণে আরোহিত, ঈদ তাদেরই জন্য যারা যাবতীয় গোনাহখাতা থেকে বিদুরিত।’
‘ঈদ তাদের জন্য নয় যারা ফরস ফুরুসে লাল গালিচার মতো। ঈদ তাদেরই জন্য যারা পুলসিরাত করতে পেরেছে অতিবাহিত।’
সুতরাং মুসলমানদের ঈদ, তাদের আনন্দ-উত্সবের মূল বক্তব্যই হলো আল্লাহর স্মরণ, আল্লাহর জিকির, আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব, আল্লাহর বড়ত্বকে দৃষ্টির সামনে রেখে সম্মিলিত আনন্দের পরিবেশ গড়ে তোলা। যাতে থাকবে নিজের পরিবারের, সমাজের, দেশের, সমগ্র দুনিয়ার অন্তর্ভুক্তি। থাকবে অন্তর্ভুক্তি ঈমানদার জীবিত সব মানুষ। মৃত জগতে যারা চলে গেছেন তারাও থাকবেন শামেলে হাল। এই আনন্দে অংশগ্রহণে ধনী-দরিদ্রে থাকবে না কোনো ভেদাভেদ। বরং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে এই আনন্দে একাকার করতে ইসলাম ধনীদের ওপর ওয়াজিব করেছে সদকায়ে ফিতর। সদকায়ে ফিতরে অন্তর্নিহিত অন্যতম তাত্পর্য হচ্ছে ঈদের আনন্দে ঈদের খুশিতে দরিদ্র শ্রেণীর লোকদেরও শামিল করে নেয়া। কেননা, ঈদের নামাজের আগেই যখন একজন অভাবী অনাহারি মানুষ কিছু পায়, তখন তা তার আনন্দের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সদকায়ে ফিতরের আরও একটি তাত্পর্য হলো, এটি রোজার জাকাত। জাকাত যেমন সম্পদকে পবিত্র করে সদকায়ে ফিতর তেমনি রোজাকে পবিত্র করে। মানুষ ভুল-ত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়। রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতির ক্ষতি পূরণ করে সদকাতুল ফিতর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন