Main Slogan:

হে ইমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর (সূরা বাকারা : ২০৮)

রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১০

বিশিষ্ট নবীদের সাথে সাক্ষাতের রহস্য



বিশিষ্ট নবীদের সাথে সাক্ষাতের রহস্য
- সায়মা রহমান কাশ্মীর

মিরাজের রাতে কতিপয় বিশিষ্ট নবীর সাতে রসূলুলস্নাহ (স.)-এর সাক্ষাৎ হয়েছিল। এ সাক্ষাতের সহস্য সম্পর্কে কোন আলেম কিছু তথ্য পেশ করেছেন। তা এইঃ ১) মিরাজের রাতে ১ম আকাশে রসূলুলস্নাহ (সা:)-এর সাথে হযরত আদম (আ.)-এর সাক্ষাত হয়। অন্যদের মতে, আদমকে যেহেতু জান্নাত থেকে পৃথিবীতে নামিয়ে দেয়া হয়েছিল সেহেতু তাঁর সাথে প্রথমেই রসূলুলস্নাহর (স.) সাক্ষাৎ হওয়াতে একথার সতর্কবাণী রয়েছে যে, রসূলুলস্নাহ (স.) কেও তাঁর মাতৃভূমির মায়া ত্যাগ করে মদীনার দিকে হিজরত করতে হবে। তাঁদের দু'জনের মধ্যে সামঞ্জস্য এই যে, দু'জনকেই প্রিয়ভূমি ত্যাগ করার কষ্ট স্বীকার করতে হয়েছে। তারপর দু'জনেরই পরিণতি সেই প্রিয় ভূমিতেই প্রত্যাবর্তন হয়েছে যেখানে থেকে তাঁদের দু'জনকে বের করো দেয়া হয়েছিল (ফাতহুল বারী, ৭ম খন্ড, ২১০ পৃষ্ঠা)।

২) ২য় আকাশে হযরত ঈসা (আ.)-এর সাথে রসূলুলস্নাহর সাক্ষাৎ হয়। তা এই জন্য যে, তিনিই রসূলুলস্নাহ (সা:)-এর সবচেয়ে কাছাকাছি সময়ের নবী (ফাতহুল বারী, ৭ম খণ্ড, ২১১ পৃষ্ঠা)।

৩) ৩য় আকাশে হযরত ইউসুফ (আ.) -এর সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হয়।

ইউসুফের ভাইয়েরা যেমন তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। তেমনি রসূলুলস্নাহকে (স.) তাঁর কুরাইশ-ভাইয়েরা হত্যা করতে উদ্যত হয়েছিল। এমতাবস্থায় শেষ পরিণতি ইউসুফেরই হাতে থাকে। তেমনি ঐরূপ পরিণতি রসূলুলস্নাহ্রও হয়েছিল। যেমন তিনি মক্কাবিজয়ের দিন কুরাইশদেরকে সেই কথাটিই বলেছিলেন যে কথাটি ইউসুফ (আ.) তাঁর ভাইদের বলেছিলেন: লা-তাস্রীবা আলাইকুমুল ইয়াও্ম্ঃ আজকের দিনে তোমাদের প্রতি কোন রকমই অভিযোগ নেই (ঐ-৭২ পৃষ্ঠা)।

৪) ৪র্থ আকাশে হযরত ইদরীস (আ.)-এর সাথে রসূলুলস্নাহর (স.) সাক্ষাৎ হয়। হযরত ইদরীস (আ.) সম্পর্কে আলস্নাহ বলেন:- অরাফা'না-হু মাকা-নান আলিয়্যা-আমি তাঁকে উচ্চমর্যাদা দান করেছি। তেমনি মিরাজের মাধ্যমে আলস্নাহ রসূলুলস্নাহ (স.) কে উচ্চমর্যাদা ভূষিত করেছেন (ঐ-২১১ পৃষ্ঠা)।

৫) ৫ম আকাশে হযরত হারুনের (আ.) সাথে রসূলুলস্নাহ্র সাক্ষাৎ হয়েছিল। তাঁর রহস্য হিসাবে ভাবা হয় যে, হারুনকে তাঁর জাতি কষ্ট দেয়ার পরে যেমন তাঁকে তারা ভালবেসেছিল। তেমনি রসূলুলস্নাহ্র কওমও তাঁকে অমানুষিক নির্যাতন দেবার পর তাঁর প্রতি অঢেল প্রেম ঢেলে দিয়েছিল- (ঐ-২১১ পৃষ্ঠা)।

৬) ৬ষ্ঠ আকাশে মূসা নবীর সাথে তাঁর (স.) সাক্ষাৎ হয়েছিল। তার রহস্য এই যে, মূসা (আ.) কে তাঁর কওম খুব্ই কষ্ট দিয়েছেল। যেমন নবী (স.) ঐদিকে ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, মূসাকে এর চেয়েও বেশী কষ্ট দেয়া হয়েছিল। তথাপি তিনি তা সহ্য করেছেন (ঐ-২১১ পৃষ্ঠা) তেমনি মুহাম্মদ (স.) কেও অমানুষিক কষ্ট দেয়া হয়েছে।

৭) ৭ম আকাশে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছিল হযরত ইবরাহীম নবীর সাথে। তখন তিনি (স.) তাঁকে ৭ম আসমানে ফেরেশতাদের তাওয়াফের ঘর বাইতুল মা'মুরে ঠেস দিয়ে বসে থাকতে দেখেছিলেন। এর রহস্য এই যে, রসূলুলস্নাহ (স.) ৭ম হিজরীতে মক্কায় প্রবেশ করবেন এবং যমীনের কাবা বাইতুলস্নাহর তাওয়াফ করবেন। তিনি ৬ষ্ঠ হিজরীতে মক্কাতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাঁর দুশমনরা তাঁকে বাধা দেয়। ফলে তিনি ৭ম হিজরীতে মক্কায় প্রবেশ করেন এবং বাইতুলস্নাহ্র তাওয়াফ করেন (ফাতহুল বারী, ৭ম খণ্ড, ২১১ পৃষ্ঠা)।

তেমনি হযরত রসূলুলস্নাহ (সাঃ)-এর হাবীবুলস্নাহ (অন্তরঙ্গ বন্ধু) হওয়াটা খলীলুলস্নাহর চেয়েও যেন আরো উচ্চ হয়। তাই মুহাম্মদ সালস্নালস্না-হু আলাইহি অসালস্নাম ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর চেয়েও উঁচুতে উঠে ক্বা-বা কাওসাইন আও্ আদ্না পর্যন্ত (তীরের রশি ও ডাং-এর মাঝের মত) তিনি আলস্নাহ্র কাছে কিংবা তার চেয়েও বেশী কাছে পেঁৗছে যান (ঐ-২১১ পৃষ্ঠা)।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Relaeted Other Islamic Blog

Other Blog-site: