Main Slogan:

হে ইমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর (সূরা বাকারা : ২০৮)
রোজা-সদাকাতুল ফিতর-ঈদ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রোজা-সদাকাতুল ফিতর-ঈদ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০১১

ISLAMIC ‘EIDS-1 ( Three EID & Three Opinions)



Muslims must celebrate only three ‘Eids:
(1): ‘Eid-ul-Fitr,
(2): ‘Eid-ul-Adh-haa,
(3): Friday is the day of ‘Eid for Muslims [See ETIQUETTE OF MUSLIMS ON
FRIDAY:BY ‘ABDUL MAJEED ‘ALI HASAN]

These three Eids are exclusively for the Muslims, and that it is not permissible for Muslims to
imitate the kuffaar and mushrikeen in anything that is a distinctive part of their celebrations,
whether it be food, dress, bonfires or acts of worship.
THE DECREES OF AL-‘EID:
There are three opinions among the scholars:
(1): Some say it is waajib (obligatory);
(2): Some say it is Fardul Kifaayah (if some offered the prayer then it is enough and it is not
obligatory upon all); and
(3): Some say it is Sunnatul Muakkadah (recommended)
The evidence of those who say it is waajib:
Some of the scholars say that ‘Eid prayers are waajib (obligatory) – this is the view of the
Hanafee scholars and of Shaykh al-Islaam Ibn Taymeeyah (may Allaah have mercy on him).
They say that the Prophet (!) always prayed the ‘Eid prayer and never omitted to do it, not
even once. They take as evidence the aayah (interpretation of the meaning), “Therefore turn
in prayer to your Lord and sacrifice (to Him only)” [al-Kawthar 108:2], i.e., the ‘Eid prayer
and the sacrifice after it, which is an instruction, and the fact that the Prophet (!) ordered that
the women should be brought out to attend the ‘Eid prayers, and that a woman who did not
have a jilbaab should borrow one from her sister. [See Tamaamul Minnah: by Al-Albaanee:
p.344. Refer to Al-Mughnaee by Imaam ibn Qudaamah: vol. 2, p. 223.]
The evidence of those who say it is Fardul Kifaayah: Some scholars say that Eid prayer is Fardul Kifaayah. This is the view of the Hanbalees. Refer to Al-Mughnaee by Imaam ibn
Qudaamah: vol. 2, p. 223.

The evidence of these who it is sunnatul Muakkadah: A third group say that ‘Eid prayer is sunnah mu’akkadah. This is the view of the Maalikis and Shaafa’is. They take as evidence
the hadeeth of the Bedouin which says that Allaah has not imposed any prayers on His slaves
other than the five daily prayers. Refer to Al-Mughnaee by Imaam ibn Qudaamah: vol. 2, p.
223.

শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১০

ঈদে বাড়ি ফেরা আনন্দময় হোক



ঈদে বাড়ি ফেরা আনন্দময় হোক
 ঈদের সব আনন্দই ভেস্তে যাবে যদি সুস্থ শরীরে গন্তব্যে পেঁৗছানো না যায়। ভ্রমণের সময় ও ঈদের ছুটিতে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে কী কী করণীয়_জানাচ্ছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম সাইদুর রহমান ও ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেস্পিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম। ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। এই আনন্দ প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারলে আরো বহুগুণে বেড়ে যায়। এ জন্যই এ সময় বাস-ট্রেনের টিকিট পাওয়া এত ব্যাকুলতা। যত কষ্টই হোক পিছু হটি না। কিন্তু ক্লান্তিকর ও দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে বাড়ি পেঁৗছানো এবং পরে আবার কাজে যোগদানের সময় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিশেষ করে শিশুদের পক্ষে লম্বা যাত্রাপথের ধকল সহ্য করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে ছোটখাটো বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা এড়ানো যায় সহজেই।


বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে
অনেকেরই অভ্যাস আছে সত্যিকারের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ব্যাগে না পুরে পথে বেরিয়ে পড়ার। এ কারণে প্রাথমিকভাবে সমস্যায় না পড়লেও পরে আফসোস করতে হয়। এ জন্য এই স্বভাব ত্যাগ করে যাওয়ার দু-এক দিন আগে থেকেই পরিকল্পনা গ্রহণ করুন। কোথায় যাচ্ছেন, সেখানকার আবহাওয়া কেমন, কদিন থাকবেন ইত্যাদি বিষয় চিন্তা করে প্রস্তুতি নিন। এর মাধ্যমে যেমন কম জিনিস বহন করা সম্ভব তেমনি পরে কোনো দরকারি সামগ্রী যেমন ওষুধ, চশমা প্রভৃতি বাড়িতে ফেলে আসার ধকল পোহাতে হবে না।
এ বছর যেহেতু ঈদ গরমের সময় তাই কোথাও যাওয়ার আগে বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখুন। দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে ও রক্তের তারল্য ধরে রাখতে যেখানেই যাবেন বোতলে বিশুদ্ধ পানি সঙ্গে নিন, একটু পর পর নিজে পান করুন এবং আপনার সঙ্গে কোনো ছোট কেউ থাকলে তাকেও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পানে উৎসাহিত করুন। ভ্রমণের সময় পোশাকের ব্যাপারেও সতর্কতা অবলম্বন করুন। খুব বেশি আঁটসাঁট পোশাক পরিধান করে ভ্রমণ করবেন না। বরং হালকা, আরামদায়ক ও সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে_এমন পোশাক ভ্রমণের জন্য নির্বাচন করুন।
কোথাও যাওয়ার সময় কমবেশি মালপত্র সবার সঙ্গেই থাকে। আর যেহেতু নিজেদেরই বইতে হয়, তাই পাদুকাপুরাণ অর্থাৎ আপনি কোন ধরনের জুতা পরে বের হলেন, সেটাও খেয়াল করুন। জুতা জুতসই না হলে চলাফেরায় কষ্ট হবে। ভ্রমণের সময় মেয়েদের যতটা সম্ভব উঁচু হিলের স্যান্ডেল এড়িয়ে ফ্ল্যাট স্যান্ডেল পরা উচিত। কারণ দীর্ঘযাত্রার সময় পরে থাকা উঁচু হিলের জুতা পায়ের রক্ত চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে এবং হাঁটুতে চাপ দেয়; ফলে পায়ের হাড়ে ব্যথা হতে পারে। আবার একেবারে নতুন জুতো পায়ে কোথাও রওনা হবেন না। এতে পায়ে ফোস্কা পড়তে পারে।
রোজা রেখে রওনা হলে অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে কিছু খাবার সঙ্গে রাখুন, যেন ইফতারের সময় হয়ে গেলে বাইরের খাবার না খেতে হয়। অনেকেরই বাসে বা ট্রেনে উঠলে মাথা ঘোরে। একে মোশন সিকনেস বলে। বিভিন্ন কারণেই মোশন সিকনেস হতে পারে। বেশি খারাপ লাগলে কেউ কেউ বমিও করে থাকেন। তাঁরা রওনা হওয়ার আগেই অ্যাভোমিন জাতীয় ওষুধ খেয়ে নিতে পারেন এবং বিব্রতকর পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা পেতে সঙ্গে প্লাস্টিকের প্যাকেট রাখুন।
বাসে বা ট্রেনে ওঠার আগে বেশ খানিকটা পথ রোদে হাঁটার প্রয়োজন হয় বা অনেকটা সময় বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, তাহলে সানবার্ন থেকে বাঁচতে ছাতা কিংবা রোদচশমা ব্যবহার করুন।
শিশুরা সব সময় ছাতার নিচে থাকতে রাজি না হলে বিকল্প হিসেবে তাদের হ্যাট পরাতে পারেন। ছাতা সঙ্গে রাখার আরেকটা উপকারী দিক হলো রওনা হওয়ার পর হুট করে বৃষ্টি-বাদল শুরু হলে সেটা আপনাকে ভিজে যাওয়া থেকে বাঁচাবে। নতুবা বাড়ি গিয়ে আনন্দ করার বদলে সর্দি-হাঁচি-কাশি-জ্বর এসবেই কাহিল হয়ে পড়বেন।
ঈদের সময় যেহেতু অনেক মানুষ একই বাড়িতে একত্র হন, ফলে যেখানে যাচ্ছেন সেখানে সব কিছু সব সময় হাতের নাগালে নাও পেতে পারেন। তাই যাওয়ার আগে গুরুত্বপূর্ণ কিটসমৃৃদ্ধ ফার্স্ট এইড বক্স নিতে কিছুতেই ভুলবেন না। মনে রাখবেন, ঈদের সকালে অসতর্কতাবশত হাত কেটে গেলে কিংবা আপনার সন্তান খেলতে গিয়ে হাঁটু ছিলে ফেললে এই ফার্স্ট এইড বক্সই হয়তো বড় বিপদ থেকে রেহাই দেবে।
এ ছাড়া একটি নোটবুকে আপনার পরিচিত চিকিৎসক ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ফোন নম্বর ও ঠিকানা লিখে রাখুন। এতে দুর্ঘটনা মোকাবিলা করা তুলনামূলকভাবে সহজ হবে।
ভ্রমণের সময়কোথাও রওনা হলে বারবার অল্প পরিমাণে পানি সঙ্গে রাখা যেমন অত্যাবশ্যক তেমনি প্রস্রাব খুব বেশিক্ষণ আটকে না রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই শুচিবায়ুর জন্য যেখানে-সেখানে বাথরুমে যাওয়ার ভয়ে পানি কম খান, যা একেবারেই ঠিক নয়।
ভ্রমণকালে বাস বা ট্রেনের জানালা দিয়ে কখনো থুতু বা কফ বাইরে ফেলবেন না। এর মাধ্যমে বিভিন্ন রোগজীবাণু সংক্রমিত হতে পারে। হাঁচি এলে মুখে রুমাল ব্যবহার করুন। দীর্ঘ সময়ের ভ্রমণে আরেকটি সমস্যা দেখা দেয়, সেটা হলো পা ফুলে যাওয়া বা পায়ে পানি চলে আসা। বাসে বা ট্রেনে অনেকক্ষণ বসে থাকলে এমন হয়। এ জন্য টানা বসে না থেকে একটু হাঁটাচলা করতে পারেন। অবশ্য ট্রেনে বা লঞ্চে হাঁটাচলার সুযোগ পাওয়া গেলেও বাসে বা প্রাইভেটকারে তা পাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে পায়ের কিছু ব্যায়াম আয়ত্ত করে নিতে পারেন, যেগুলো এক জায়গায় বসে থেকেই করতে পারবেন। এ ছাড়া আজকাল দূরপাল্লার প্রায় সব বাসই যাত্রাপথে কোথাও না কোথাও কিছু সময়ের জন্য বিরতি নেয়, সে সময় বাসে বসে না থেকে বা অলস সময় না কাটিয়ে হাঁটাচলার মাধ্যমে পায়ের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে নিতে পারেন। প্রাইভেটকারে রওনা হলে পথে দু-এক জায়গায় থেমে একটু হাঁটাচলা করুন।
যাত্রাপথে অনেকেই বই পড়ে সময় কাটান। ভালো অভ্যাস কিন্তু আপনার যদি মোশন সিকনেস থাকে, তাহলে দয়া করে এ কাজটি করতে যাবেন না। ট্রেনে দুলনির সঙ্গে সঙ্গে বই পড়ার ফলে মাথা ঘোরা শুরু হতে পারে, যা থেকে পরে বমিও হতে পারে। মোশন সিকনেস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাস বা ট্রেন চলাকালে বাইরের দিকে তাকিয়ে না থেকে ও বই না পড়ে বরং চোখ বন্ধ রাখুন। সম্ভব হলে ঘুমিয়েও নিতে পারেন।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার সময় অপরিচিত কেউ কিছু দিলে খাবেন না। একই কথা প্রযোজ্য, ঈদ কাটিয়ে ফিরে আসার সময়ও।

শিশু ও বয়স্কদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিন
ভ্রমণের সময় শিশুরা অধিক উত্তেজনাবশত প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। কখনো সে ব্যথা পায়, কখনো হারিয়েও যায়। এ জন্য আপনার সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কী করছে, কার সঙ্গে খেলছে_সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখুন। একেবারে ছোট দুগ্ধপোষ্য শিশু নিয়ে ভ্রমণ না করাই উচিত। একান্ত প্রয়োজনে বের হতে হলে তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করে তবেই বাসা থেকে বের হোন। ভ্রমণের সময় শিশুদের ধুলাবালি থেকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে, এদিকে সতর্ক থাকুন। শিশুদের বাইরের খোলা খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত রাখার জন্য বাসায় তৈরি কিছু মুখরোচক খাবার সঙ্গে নিয়ে নিন। তারা যথেষ্ট পরিমাণে পানি ও তরল-জাতীয় খাবার খাচ্ছে কি না, সেদিকে সব সময় লক্ষ রাখুন।
বয়স্ক মানুষের জন্য বাসে বা ট্রেনে ওঠা কষ্টসাধ্য হয়ে থাকে। সে সময় তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। বাসের মধ্যেও যেন তারা একই ভঙ্গিতে বেশিক্ষণ বসে না থাকে, সে ব্যাপারে সজাগ থাকুন।

গর্ভাবস্থায় ভ্রমণে করণীয়
বিশেষ কিছু ক্ষেত্র ছাড়া অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা বেশ নিরাপদেই ভ্রমণ করতে পারেন। তবে দেহে ঝাঁকির উদ্রেক হয়_এমন পথ যথাসম্ভব পরিহার করুন। প্রথম তিন মাস ও সাত মাস বা ২৮ সপ্তাহ পেরোনোর পর ভ্রমণ যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। গর্ভাবস্থায় একা ভ্রমণের চিন্তা করা ঠিক নয়। নিরাপদ মাতৃত্বের স্বার্থে কোনো ধরনের বিপদের ঝুঁকি নেবেন না; এ জন্য যাঁরা ৩৫ বছর পেরোনোর পর প্রথমবারের মতো মা হচ্ছেন, যাঁদের উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা আছে, যাঁরা মেরুদণ্ডের সমস্যায় আক্রান্ত এবং ইতিপূর্বে যাঁরা মাতৃত্বজনিত জটিলতার মুখোমুখি হয়েছেন, তাঁরা এবারে ঈদের আনন্দ বাড়িতে বসেই উপভোগ করুন। অন্য যেকোনো ধরনের সমস্যা সমাধানে সর্বদা চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।  
ভ্রমণের সময় ব্যায়াম

বাসে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার সময় অনেকক্ষণ বসে থাকার জন্য অনেকেরই পা ফুলে যায়। গন্তব্য স্থলে যাওয়ার জন্য ছয়-সাত ঘণ্টার বেশি একনাগাড়ে বসে থাকার প্রয়োজন হলে এমন ঘটনা বেশি ঘটে। এ সময়ে শরীরে একধরনের জড়তাও ভর করে। এ ধরনের বিভিন্ন অসুবিধা দূর করতে কয়েকটা ব্যায়াম জেনে নিন, যেগুলো বাসে বা গাড়িতে বসেই করা সম্ভব। এতে ভ্রমণ আনন্দদায়ক হওয়ার পাশাপাশি দেহও সতেজ থাকবে ।
* কিছুক্ষণ পর পর স্ট্রেচিং বা আড়মোড়া ভাঙার চেষ্টা করুন।
* বসে থেকেই হাত কয়েকবার ওপর-নিচ করতে পারেন। এতে দেহের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
* দীর্ঘ সময় বসে থাকার ফলে অনেকেরই পা ফুলে যায়। এ সমস্যা এড়াতে বসে থেকেই একটু পর পর দুই পা গোড়ালির ওপর ভর করে কয়েকবার ঘুরিয়ে নিন।
* শূন্যে ঘুষি মারাও কিন্তু হাতের একধরনের ব্যায়াম। এর মাধ্যমে দুই বাহুতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখা সম্ভব।
* বাস থামলে বা গাড়ি থামিয়ে সুযোগ পেলেই হাঁটাহাঁটি বা নড়াচড়া করে শরীরের অবসাদ দূর করুন। গ্রন্থনা : হুমায়রা ফেরদৌস

ঈদের খাবার হিসাব করে খান



ঈদের খাবার হিসাব করে খান 
ঈদের আনন্দ ছোটদের সবচেয়ে বেশি। ছোট বলে তারা একটানা রোজা রাখে না, শখ করে দু-একটা রাখে, তাই রোজা শেষে ঈদের দিন মজার মজার খাবার তারা খেতে পারে। সাধারণত এতে ওদের সমস্যা কম হয়। তবে অতিভোজনে যে কারো মতো ছোটদেরও সমস্যা হতে পারে।
১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা সাধারণত রোজা রাখেন। তার পরও রোজার পর ঈদের খাওয়া-দাওয়া তাঁদের ওপর তেমন কোনো প্রভাব ফেলে না, কোনো শারীরিক সমস্যা না থাকা ও হজমে সহায়ক সব ধরনের এনজাইমের সঠিক নিঃসরণের কারণে। শরীরে তাঁদের অন্যান্য অসুখ না থাকলে গুরুপাক খাদ্যগুলো সহজে হজম হয়ে যায়।
তবে মলত্যাগের সময় পায়ুপথে ব্যথা, জ্বালাপোড়া ও কখনো কখনো রক্তক্ষরণ হতে পারে। এক মাস রোজায় দীর্ঘসময় পানি ও অন্যান্য তরল খাবার খাওয়া হয় না। ইফতারের পরও পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পান করা হয় না। ফলে শরীরের পানির ঘাটতি পুরোপুরি পূরণ হয় না। ইফতার ও সেহ্রিতে আমরা যে ধরনের খাবার যেমন ছোলা, পেঁয়াজু ইত্যাদি খেয়ে অভ্যস্ত, তাতে আমাদের শাকসবজির অভাবও থেকে যায়; তাই স্বাভাবিকভাবেই শতকরা ৪০ ভাগ মানুষের কোষ্ঠ কাঠিন্য অথবা অনিয়মিত পায়খানা হওয়ার অভ্যাস হয়।
অন্যদিকে ঈদের দিন প্রচুর তৈলাক্ত খাবার, পোলাও, বিরিয়ানি ও আমিষ জাতীয় খাবার, যেমন মুরগি, খাসি বা গরুর মাংস, কাবাব, রেজালা ইত্যাদি খাই। এসব খাবার অন্ত্র থেকে অতিরিক্ত পানি শোষণ করে। ফলে কোষ্ঠ কাঠিন্যের সমস্যা আরো বেড়ে যায় ও অ্যানাল ফিশার ও পায়ুপথে জ্বালাপোড়া, ব্যথা ইত্যাদি হতে পারে। যাদের আগে থেকেই হিমোরয়েড বা পাইলসের সমস্যা আছে তাদের পায়ুপথে রক্তক্ষরণ পর্যন্ত হতে পারে।যা করতে হবেঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে অল্প করে সেমাই বা পায়েস খান। সেমাই ও পায়েসের সঙ্গে কিশমিশ, বাদাম ইত্যাদি খান, খাবার আগে ফলের জুস, যেমন পেঁপে, আম ইত্যাদি খেতে পারেন, তবে আনারসের জুস না খাওয়াই ভালো। খাবার আধঘণ্টা পর দেড় থেকে দুই গ্লাস পানি খেয়ে নামাজ পড়তে যান।
* দিনে বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে প্রচুর পানি ও অন্যান্য তরল খাবার খান।
* একেবারে বেশি করে না খেয়ে অল্প অল্প করে বারবার খান।
* যারা ঈদের দিন চটপটি জাতীয় খাবার পছন্দ করেন তারা তেঁতুলের টক সঙ্গে নিন।
* পোলাও বা বিরিয়ানির সঙ্গে অবশ্যই সালাদ (টমেটো, শসা ইত্যাদি) খান।
* খাবারের পর ডেজার্ট হিসেবে দই খান।

মধ্যবয়সী (৩০ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের জন্য) মানুষের খাবার সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন। এমনকি হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, হাইপারকোলেস্টেরমিয়া ইত্যাদি না থাকা সত্ত্বেও এই বয়সের মানুষের ঈদের খাবারের ব্যাপারে বাড়তি সতর্ক থাকা দরকার। মধ্যবয়সীদের যে সমস্যাগুলো দেখা যায় তা হলো_
* পেট ভরা ভাব বা অস্বস্তিকর অনুভূতি বা ব্লটিং। রোজার পর হঠাৎ করে তৈলাক্ত, চর্বিযুক্ত খাবার অতিরিক্ত খাওয়া হয়। এসব খাবার পরিপূর্ণভাবে পরিপাক করতে অন্তত ১১ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লাগে। একবারে বেশি খাবার খাওয়ার জন্য পেটে অস্বস্তিকর অনুভূতি, ভরা ভরা ভাব, বারবার ঢেকুর ওঠা এমনকি বুকে ব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
* যাদের পেপটিক আলসার ডিজিজ আছে তাদের রোজার সময় দীর্ঘক্ষণ পেট খালি থাকার জন্য নিঃসরিত হাইড্রোক্লোরিক এসিড পাকস্থলী ও ডিওডেনামে ক্ষয় করে। ঈদের দিন তৈলাক্ত ও ঝাল মশলাযুক্ত খাবার খাওয়ায় পাকস্থলী ও ডিওডেনামের ক্ষতে পুনরায় প্রদাহের সৃষ্টি হয় ও বুক জ্বলা, পেট জ্বলা ইত্যাদি অনেক বেড়ে যায়।
* মহিলাদের সাধারণত আইবিএস বা ইরিটেবল বাওল সিনড্রোম দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে দুগ্ধজাত খাবারগুলো যেমন পায়েস, সেমাই, হালুয়া ইত্যাদি খাবারে অস্বস্তি, ঘন ঘন মলত্যাগ ও অসম্পূর্ণ মলত্যাগের অনুভূতি হয়।
* কোষ্ঠ কাঠিন্য বা পায়ুপথে ব্যথা ও রক্তক্ষরণের সমস্যায় আক্রান্ত হন অনেকে।
যা করতে হবে
* অতিরিক্ত পোলাও, বিরিয়ানি জাতীয় খাবার খাবেন না।
* যাদের পেটে অস্বস্তি বা গ্যাস হয়েছে বলে মনে হচ্ছে তাঁরা মটিলিটি বাড়ানোর জন্য ডমপেরিডন জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন।
* যাদের পেপটিক আলসার ডিজিজ আছে তারা সকালে উঠেই অ্যান্টিআলসারেন্ট-রেনিটিডিন, ওমিপ্রাজল বা প্যান্টোপ্রাজল গ্রুপের ওষুধ খান। ওষুধ খাওয়ার এক-দুই ঘণ্টা পরে খাবার খান। এন্টাসিড জাতীয় ওষুধও খেতে পারেন।
* যাদের আইবিএস আছে তারা দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করুন।
* রাতে কোনো দাওয়াতে গেলে অল্প খাওয়ার চেষ্টা করুন। খেয়েই ঘুমিয়ে পড়বেন না। খাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা পর বিছানায় যাবেন।
* ঈদের সময় সাধারণত সবাই একত্রে বসে খাওয়া হয় ও খাবার সময় গল্পগুজব করা হয়। এতে অতিরিক্ত বাতাস পাকস্থলীতে ঢুকে বার বার ঢেকুর তোলার সমস্যা হতে পারে। তাই খাবারের সময় যতটা সম্ভব কম গল্পগুজব করুন ও খাবার ভালো করে চিবিয়ে খান।
* খাবারের ফাঁকে ফাঁকে পানি খাবেন না, এতে হজম রসগুলো পাতলা হয়ে যায়। ফলে হজমে অসুবিধা হয়। তাই খাওয়ার অন্তত এক-ই ঘণ্টা পর পানি পান করুন।
* খাবারের মাঝে বোরহানি খেতে পারেন, তবে কোল্ড ড্রিংকস পরিহার করুন।
* খাবারের পর টকদই খান।

তবে ঈদের সময় বয়স্ক মানুষের জন্য ভারী খাবারগুলো অনেক ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। যেমন_
* বমি ভাব হওয়া ও বমি হওয়া
* ডায়রিয়া
* পেট ব্যথা
* বুক ব্যথা
* কোষ্ঠকাঠিন্য
* ইনটেস্টিনাল অবস্ট্রাকশনওহতে পারে

যা করতে হবেভারী খাবার না খাওয়াই ভালো। যদি একান্তই খেতে হয়, তবে পরিমাণে খুব কম খেতে হবে। যে খাবারে সমস্যা বেশি হয়, তা এড়িয়ে চলুন। পেটে গ্যাস হলে ডমপেরিডন জাতীয় ওষুধ, এসিডিটির সমস্যা হলে এন্টাসিড, রেনিটিডিন, ওমিপ্রাজল, প্যান্টোপ্রাজল ওষুধ খান। খাওয়ার পর দই বা টক দই খান। তবে সবচেয়ে ভালো ভারী খাবার এড়িয়ে ভাত, মুরগির মাংস বা মাছ খাওয়া। তাতে সমস্যা কম হবে।

ঈদে আশেপাশে এক চক্কর

ঈদে আশেপাশে এক চক্কর


ছোট্ট ছুটিতে আমরা কোথাও বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ পাই না প্রায়ই। সিদ্ধান্ত নিতেই ছুটি শেষ! মনকে তখন বোঝাতে হয়, আগামী ছুটিতে...। স্বল্প সময়ের ছুটি কিংবা অবসরকে অর্থপূর্ণ না করার কারণ বেড়ানোর স্থানের খোঁজখবর না জানা। এ ব্যর্থতা আমাদের, ভোগায়ও আমাদের। ঈদের ছুটিকে আনন্দময় করে তুলতে আমাদের এবারের আয়োজন। ঈদের ছুটিতে আমরা কোথায় কোথায় বেড়াতে যাব, তা ঠিক করে নেই। ঢাকা কিংবা ঢাকার পাশে ও বাইরে রূপসী বাংলার দর্শনীয় স্থান এবং যেখানে যাওয়া হয়নি সেসব সম্পর্কে তুলে ধরা হলো। বেড়ানো, হোক না তা স্বল্প সময়ের জন্য। তা আর দেরি কেন! কোথায় যাবেন ঈদের ছুটিতে তা এখনই ঠিক করে নিন। লিখেছেন রাজীব পাল রনী

নন্দন : যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তি ও ডিজাইন এবং ভারতের নিকো পার্কের সহযোগিতায় তৈরি নন্দনপার্ক। নবীনগরের কাছে বাড়ইপাড়ায় ১২০ বিঘা জায়গাজুড়ে বিশাল এ পার্কে ভেসে আসে সাগরের ধ্বনি। পার্কে রয়েছে ক্যাবল কার, প্যাডেল বোট, আইস ল্যান্ড, ক্রেজি সাইকেল, ক্যাটার পিলার এবং নেট-এটলসহ অসংখ্য রোমাঞ্চকর রাইড। এছাড়া বনভোজনের জন্য আদর্শ স্থান। রয়েছে বিভিন্ন দোকান। দোকানে সমুচা, সিঙ্গারা থেকে শুরু করে ফ্লাইড চিকেন—সবই পাবেন। ৫৫০টি গাড়ি পাকিং এবং কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা। ছুটির দিনে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা এবং অন্যান্য দিন বেলা ১১ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য পার্ক খোলা থাকে। পিকনিক বা বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন। ফোন : ৯৮৯০২৮৩, ৯৮৯০৯২১, ৯৮৯৮৯৪৯, ০১৮১৯-২২৩৫২৯।
ফ্যান্টাসি কিংডম : ঢাকার আশুলিয়ার বড় বিনোদন কেন্দ্র ফ্যান্টসি কিংডম। মজার ল্যান্ডস্কেপিং এবং রোমাঞ্চকর সব রাইড রয়েছে এ পার্কে। যেমন—রোলার কোস্টার, জায়ান্ট ফ্লম, সান্ডামারিয়া, ম্যাজিক কার্পেট, ওয়ালি বার্ড, জুজুট্রেন, বাম্পার বার, বোটসহ আকর্ষণীয় আরও অনেক রাইড। তাছাড়া সঙ্গেই ওয়াটার কিংডমের পানির মধ্যে বিনোদনের অপূর্ব আয়োজন। মাটির নিচ দিয়ে ট্যানেল পার হয় বা সাগরের উত্তাল ঢেউ তৈরি করা ওয়েভপুল আপনাকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত। ইতিহাস সমৃদ্ধ স্থাপনা জাতীয় স্মৃতিসৌধ, চুনাখোলা মসজিদ, ষাটগম্বুজ মসজিদ, পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার এবং কান্তজিউর মন্দিরের প্রতিকৃতি উপভোগ করতে পারেন হেরিটেজে। খাবারের জন্য আন্তর্জাতিক মানের রেস্টুরেন্ট ও ওয়াটার ক্যাফে রয়েছে। তাছাড়া রয়েছে কেনাকাটা এবং গিফটশপ। বিশেষ দিন ও শুক্রবার আয়োজন করা হয় কনসার্টের। ফ্যান্টাসি কিংডম ৪০০ গাড়ি পাকিং এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা। ছুটির দিনে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে। যোগাযোগ : ৮৮২৯৮৭১, ৮৮১৪০২৮।
পদ্মা রিসোর্ট : বাংলাদেশের নদীনির্ভর জীবনযাত্রার হাজার বছর ধরে যে অপরূপ সৌন্দর্য দেশ ও বিদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি ট্যুর অপারেটর। পদ্মার চরের মধ্যে তারা গড়ে তুলেছে পদ্মা রিসোর্ট। ভ্রমণপ্রিয়দের আনন্দ দিতে কি নেই এখানে! মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার ঘোরাদৌর বাজারের অপরপাশে নদীর মাঝেই বিশাল বিস্তৃত চড়ের মধ্যে পদ্মা রিসোর্ট। পদ্মার চরে গড়ে ওঠা রিসোর্টে থাকার জন্য আছে ১৮টি ডুপ্লেক্স। ঘরের চাল সুন্দরী পাতা দিয়ে তৈরি। দেয়াল ও অন্যান্য জায়গায় বাঁশ এবং তালগাছের পাতা ব্যবহার করা হয়েছে। রিসোর্টটির চারদিকে পদ্মা নদী প্রবাহিত হওয়ায় সার্বক্ষণিক মৃদু ঠাণ্ডা বাতাস বিরাজ করে।
বালুচরে পদ্মা রিসোর্টে বসে দেখতে পারেন সূর্যাস্ত বা সূর্যোদয়। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত রিসোর্টের ভাড়া পড়বে ২৩০০ টাকা আর ২৪ ঘণ্টা থাকা-খাওয়ার জন্য ভাড়া পড়বে ৩৫০০ টাকা। পদ্মা রিসোর্টে ঘুরতে যেতে চাইলে যোগাযোগ করুন মিলেনিয়াম ট্যুর অপারেটর, ৮৪ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০। ফোন : ০১৯১৩-৫৩১৮২০ অথবা ০১৭১৩-০৩৩০৪৯।
রাসেল পার্ক : ঢাকা-নরসিংদী সড়কে মুড়াপাড়ায় রাসেল পার্কের অবস্থান। ঢাকা থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরত্ব। ২০ টাকার টিকিটের বিনিময়ে সবুজ গাছের সারি, মিনি চিড়িয়াখানা, পুকুর এবং খেলার মাঠসহ ছোট-বড় কটেজ ঘুরে দেখা যায়।
ইনানী ও হিমছড়ি সমুদ্র সৈকত : ইনানী সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার সময়টা জোয়ার-ভাটা হিসাব করে নির্ধারণ করাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কক্সবাজার থেকে ইনানী সমুদ্র সৈকতের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। এখানে রয়েছে সারিসারি ঝাউ বাগান ও সৈকতের অপর ছড়ানো-ছিটানো ছোট-বড় পাথর। ইনানী বিচে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখার মজাই আলাদা। কক্সবাজার থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটারের পথ হিমছড়ি। এখানে সৈকতের শেষ সীমানায় লোকালয় ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে আছে উঁচু পাহাড়। পাহাড়ের গা-বেয়ে নেমে আসা ঝরনার অপরূপ দৃশ্য চোখে পড়বে। এখানকার পরিবেশ শান্ত। কক্সবাজার থেকে লোকাল জিপে জনপ্রতি ভাড়া ৫০-৭০ টাকায় পাহাড়ঘেঁষা রাস্তা দিয়ে পৌঁছে যেতে পারেন হিমছড়িতে। হিমছড়ি যেতে সময় লাগবে ৪০-৫০ মিনিট।
পানামনগরী : সোনারগাঁয়ে অবস্থিত পানামনগরী। সোনারগাঁয় এক সময় বাংলার স্বাধীন সুলতানদের রাজধানী ছিল। আপনি পানামনগর দেখার পাশাপাশি ঘুরে আসতে পারেন সোনারগাঁয়ের লোকশিল্প জাদুঘরে। ১১টি গ্যালারি রয়েছে। প্রতিটি গ্যালারিতে দুর্লোভ ঐতিহ্যের সংরক্ষিত আছে। গ্যালারিগুলো হলো নিপুণ কাঠ খোদাই গ্যালারি, গ্রামীণ জীবন, পটচিত্র, মুখোশ, নৌকার মডেল, আদিবাসী, লোকজ বাদ্যযন্ত্র ও পোড়ামাটির তৈজসপত্র, বাঁশবেত, শীতল পাটির গ্যালারি। তাছাড়া ফাউন্ডেশন চত্বরে দু’জন অশ্বরোহী ভাস্কর্য, দৃষ্টিনন্দন লেক, গরুর গাড়ির সংগ্রাম ভাস্কর্য। মতিঝিল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পানামনগরীতে যেতে পারেন যে কোনো মোগড়াপাড়াগামী বাসে। বাসে ভাড়া লাগবে ২০-২৫ টাকা। মোগড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডে নেমে রিকশায় বা অটোতে যেতে পারেন পানামনগরীতে।
বিভিন্ন বিনোদনের স্পট : ঢাকা চিড়িয়াখানা—মিরপুর, ফোন : ৯০০২৯৫৪, ৯০০২০২০। বোটানিক্যাল গার্ডেন—মিরপুর, ফোন : ৮০১৮০৯২, ৮০১৯১৩৬, শিশুপার্ক : শাহবাগ, ফোন : ৮৬২৩৩০৪, জাতীয় জাদুঘর—শাহবাগ; আহসান মঞ্জিল— লালবাগ; হেরিটেজপার্ক : সাভার; জাহানারা ইমাম জাদুঘর : ৫৫, এলিফ্যান্ট রোড, লালবাগ কেল্লা : লালবাগ; জাতীয় বিজ্ঞান প্রযুক্তি জাদুঘর—আগারগাঁও, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর—ধানমন্ডি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার—বিজয়সরণি, সামরিক জাদুঘর—বিজয়সরণি। এছাড়াও ঢাকার বাইরে কুমিল্লার ময়নামতি; কুয়াকাটা, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, সুন্দরবন, মনোরম স্থানে যেতে পারেন।

ঈদের উপহার

ঈদের উপহার

-আয়ান রায়হান

আর দুদিন গড়ালেই দেখা যাবে ঈদের চাঁদ। সবাই কেনাকাটার তালিকাটি মাথায় রেখে ছুটছেন এ-দোকান থেকে ও-দোকানে। কেনাকাটার রয়েছে রকমফের। কেউ নিজের জন্য, কেউ বা কিনছেন আত্মীয় বা বন্ধুদের জন্য। ঈদ মানে যেহেতু আনন্দ, তাই ঈদের আনন্দটুকু সবার মাঝে বিলিয়ে দিতে রাজধানীর গিফট শপগুলোতে জনসমাগম চোখে পড়ার মতো।
উপহার কিনুন বয়স বুঝে : আপনার গিফটটি হওয়া চাই বয়সের সঙ্গে মানানসই। কারণ উপহার দেয়ার সঙ্গে জড়িয়ে আছে একজনের রুচির পরিচয়। যার জন্য কিনছেন, তার পছন্দ জানা থাকলে চটজলদি কিনে ফেলতে পারবেন। তবে যদি পছন্দ জানা না থাকে, তাহলে বয়স আর আপনার সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারটি মাথায় রেখে গিফটটি কিনুন।
আপনার বাবা। ছায়াঘেরা বারান্দার দোলখাওয়া চেয়ারটিতে বসে হারিয়ে যেতে পছন্দ করেন স্মৃতিবিজড়িত অতীতে। রবীন্দ্র অথবা নজরুলসঙ্গীতের সিডি উপহার হিসেবে দিতে পারেন তার অতীতকে আরও ছন্দময় করে তোলার জন্য।
চমত্কার রাঁধুনী আপনার মা। টিভিতে কোনো রেসিপি দেখলে আটকে যান সেটির কাজে। রান্নাপ্রিয় মাকে একটি রেসিপির বই উপহার দিন, যেখানে তিনি খুঁজে পাবেন একসঙ্গে হাজার রসনাবিলাস। অথবা মাকে উপহার হিসেবে দিন ফ্রেমেবাঁধা স্মৃতিময় কোনো ছবি, যা দেখে অগোচরেই তার চোখ থেকে বেরিয়ে আসবে দু’ফোঁটা অশ্রু আর ঠোঁটে ফুটে উঠবে এক চিলতে হাসি। কলেজপড়ুয়া ভাইটি অনেক স্টাইলসচেতন। তার জন্য কিনতে পারেন সান গ্লাস, ঘড়ি, পারফিউম বা হাতের চমত্কার ব্রেসলেট। বইয়ের ভেতর সারাদিন খুঁজে পাওয়া যায় যে বোনটিকে— সায়েন্সফিকশন, বিখ্যাত লেখকের জীবনী, রম্যরচনা অথবা তার প্রিয় কোনো লেখকের বই হবে তার জন্য উত্কৃষ্ট উপহার। কিংবা সুন্দর একজোড়া কানের দুল, জুয়েলারি বক্স নিশ্চয়ই সে পছন্দ করবে।
ঈদের গিফট যা-ই হোক না কেন, ঈদকার্ডের জুড়ি নেই। সব বয়সের মানুষের জন্য রয়েছে দারুণসব ঈদকার্ড, সঙ্গে নানা ধরনের শো-পিস।
আর হ্যাঁ, আপনার সোনামণিটির কথা ভুলবেন না যেন! চকলেট বক্স, কার্টুন বা ছড়ার ডিভিডি, একটি টয় সেট—তার ঈদ হয়ে উঠবে আরও পরিপূর্ণ।

Relaeted Other Islamic Blog

Other Blog-site: